নববর্ষের প্রদোষকালে কোলকাতার একাডেমী অফ ফাইন আর্টস চত্বরের মোহর কুঞ্জের সামনে থেকে বঙ্গীয় সনাতনী সংস্কৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে এবছর বার করা হল মঙ্গল শোভাযাত্রার।
বাংলাদেশের এবং কোলকাতার আরো কয়েকটি শোভাযাত্রার অনুকরণে মঙ্গল শোভাযাত্রার সাপ, বেজি, প্যাঁচা, ইঁদুর, বাদুর , কিচ্ছু না রেখে বরং ছিল বাঙ্গালীর চিরায়ত মঙ্গল চিহ্নগুলির প্রতীক- মঙ্গল ঘট, লজ্জ্বাগৌরী, আম্রপল্লব, কলাগাছ, বরণ ডালা, পাখা, শঙ্খ ধ্বনি, ঢাক, ঢোল, শ্রীখোল সহযোগে বাঙ্গালীর কালপঞ্জিকার প্রবর্তক ও বাঙ্গালীয়ানার প্রথম রূপকার মহারাজাধিরাজ নরেন্দ্র আদিত্যের চিত্র।
ঢাক, ঢোল, শ্রীখোল , চামর সহযোগে নৃত্যাঙ্গনা রাস্তা জুড়ে নৃত্য পরিবেশন করতে চলল। অসংখ্য শিশু মাথায় মুকুট পরে শিশু রাম ও শিশু কৃষ্ণ সেজে শোভাযাত্রা কে বর্ণময় করে তুলেছিল। ঢাক, ঢোল, কাঁসরের পাশাপাশি ছিল বালকদের যোগচাপ। রঙ্গীন পতাকা ও শশাঙ্ক র প্রতিকৃতি নিয়ে রাজপথ জুড়ে বিশাল শোভাযাত্রা পথ চলতি মানুষ কে আকর্ষিত করে।
বিগত কয়েক বছর ধরে মহারাজা শশাঙ্ক র রাজত্বকালেই বঙ্গাব্দের সূচনা – ঐতিহাসিক এই সত্যতাকে তুলে ধরে সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গীয় সনাতনী সংস্কৃতি পরিষদ। এবছরেও তার অন্যথা হয়নি।
পরে একটি প্রকাশ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাঙ্গালীর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত কীর্তন, ধ্রুপদ, গৌড়ীয় নৃত্য, বাউল, পটের গান, আবৃত্তি পরিবেশনা ছাড়াও প্রকাশ পায় মহারাজা শশাঙ্ক র চিত্র সমন্বিত একটি দেওয়াল পঞ্জিকার।
এ বছরের শশাঙ্ক সম্মান পেলেন গবেষক ও লেখক শ্রী কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যার।
গৌড়ভূষণ অলঙ্কার দেওয়া হল বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্রী রক্তিম দাসকে।
আনন্দপ্রিয় বাঙ্গালী বছরের প্রথম দিনে একসঙ্গে পথ চলতে চলতে আগামী স্বপ্নে বিভোর হয়ে বাঙ্গালী কে আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন ফিরে পেতে নতুন সূর্যদয়ের শপথ নিলেন।