প্রকাশ্য সভায় জেলার আমলার সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে রাতারাতি ওই আমলার বদলি নিয়েও। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই মন্তব্যে নারাজ। কিন্তু প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সাথী মনোজ চক্রবর্তী।
তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মী ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা-(প্রাক্তন) সভাপতি মনোজবাবু শুক্রবার এই প্রতিবেদককে বলেন, “এক বছর মাস্টারি করার পর ১৯৬৭-তে আমি সরকারি কাজে ঢুকি। ২০০৭-এ অবসর নেওয়ার পরেও দলের কাজ করি। আমি এখনও এই সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে আছি। জনগণ ভোটে যে দলকে নির্বাচিত করেছেন, তার নেতা বা নেত্রী কীভাবে কথা বলবেন, সেটা ঠিক করার দায় তাঁরই। প্রতিটা মানুষের নিজস্ব কিছু আচরণ বা ভঙ্গী (স্টাইল) থাকে। সেটা তো যাঁর যাঁর নিজস্ব। “
মনোজবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। তবে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে কথা বলার সময় তাঁকে তুমি না বলে আপনি বলাই শোভনীয়। দ্বিতীয়ত, সব দায় কি ডিএম-এর? কিন্তু তিনি (ডিএম) যদি মুখ বন্ধ করে মেনে নেন, আমি বলার কে? এটুকু বলতে পারি, এরকম অপমান আমাকে করলে আমি প্রতিবাদ করতাম। অন্যায় কখনও সমর্থন করিনি। বাম আমলে এ কারণে বদলি হয়েছি, মার খেয়েছি। তা সত্বেও মনে করি ডিএম-এর উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন, যেভাবে বলেছেন, ঠিক করেননি।”
অশোক সেনগুপ্ত