মনমরা শুভমন, সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে এলেন সচিন-কন্যা সারা, দিলেন বার্তা!

২০০৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে অষ্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল। এ বার ২০২৩ সালে সেই হারের বদলা নেবে টিম ইন্ডিয়া— এ রকমই ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু টানা ১০ ম্যাচ জিতেও বিশ্বকাপের ফাইনালে ফের অষ্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হল ভারতকে। সে দিন খেলতে নেমে ৪ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় শুভমন গিলকে। ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ছিলেন সচিন-কন্যা সারা তেন্ডুলকর। কিন্তু ক্যামেরায় একবারও দেখা যায়নি তাঁকে। বিশ্বকাপে ভারতের হারের পরেও চুপ ছিলেন সারা-শুভমন দুজনেই।

প্রায় সকলেরই জানা এই মুহূর্তে সারা-শুভমনের প্রেমের চর্চা সর্বত্র। দু’জনেই সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয়া, অনুরাগী সংখ্যাও মিলিয়নের উপরে। কিন্তু ফাইনালের পর থেকে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন শুভমন-সারা। কিন্তু আচমকা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শুভমন। সামাল দিতে হাত বাড়িয়ে দিলেন সারা!

অষ্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে স্বাভাবিক ভাবেই মনমরা রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিরা। ফাইনালের এই হারে বিমর্ষ গোটা টিম ইন্ডিয়া। শুভমন সোমবার বিকেল ৩:৫৮ মিনিটে সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘এতগুলো ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও দুঃস্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে সবটা দিয়ে দেওয়াও যেন যথেষ্ট বলে মনে হয় না। হয়তো আমরা আমাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি, তবে এই সফরের প্রতিটা দিন আমাদের দলগত ঐক্য ও অধ্যাবসায়ের অধ্যায় হয়ে থাকবে। তবে যতক্ষণ না জিতছি ততক্ষণ আমরা থেমে যাব না।’’

শুভমনের পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে এখনও আবগকে বশে করতে পারেননি ক্রিকেট তারকা। তবে চর্চিচ প্রেমিকের মনোবল বাড়াতেই বার্তা দিলেন সচিন-কন্যা। পাল্টা তিনি লেখেন, ‘‘অষ্ট্রেলিয়াকে শুভেচ্ছা ষষ্ঠতম বিশ্বকাপটা জেতার জন্য। বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা বেশি ভাল খেলেছে। এ বার ভারত পারল না। আমি বুঝতে পারছি দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়, অনুরাগী কোন কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। হারও খেলার একটা অঙ্গ। কিন্তু এই সফরে টিম ইন্ডিয়া যে ঐক্য দেখিয়েছেন সেটা মনে রাখার মতো।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.