মণিপুরে মে মাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার ভিডিয়ো সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে একদল পুরুষ দুই মহিলাকে নগ্ন করে শ্লীলতাহানি করেছে। জানা গিএয়ছে এই দুই মহিলার মধ্যে একজনের স্বামী কারগিল যুদ্ধে দেশের হয়ে যুদ্ধ করেছেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন যে তিনি দেশকে রক্ষা করেলেও নিজের স্ত্রীকে অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি। ৪ মের এই ভিডিয়ো দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় তুলেছে।
জানা গিয়েছ ওই মহিলার স্বামী ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসম রেজিমেন্টের সুবেদার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি কার্গিল যুদ্ধে দেশের জন্য লড়াই করেছি এবং ভারতীয় শান্তি রক্ষা বাহিনীর অংশ হিসাবে শ্রীলঙ্কাতেও ছিলাম। আমি দেশকে রক্ষা করেছি কিন্তু আমি হতাশ যে আমার অবসরের পরে, আমি আমার বাড়ি, আমার স্ত্রী এবং অন্যান্য গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে পারিনি… আমি দুঃখিত, হতাশাগ্রস্ত’।
তিনি বলেন, গত চার মে সকালে জনতা ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়, দুই মহিলার পোশাক খুলে নয় এবং তাদের গ্রামের রাস্তায় সকলের সামনে হাঁটতে বাধ্য করে। তিনি বলেন, ‘পুলিস সেখানে উপস্থিত ছিল কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আমি চাই যারা ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে এবং নারীদের অপমান করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক’।
ভিডিয়োটি প্রকাশের একদিন পর গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মণিপুর পুলিস একটি টুইটার পোস্টে বলেছে, ‘রাজ্য পুলিস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতার করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।
তিন মে রাজ্যে এই হিংসার ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। মেইতেই সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি ‘উপজাতি সংহতি মার্চ’ সংগঠিত হয়েছিল।
মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ মেইতেই এবং বেশিরভাগই ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে। যেখানে উপজাতীয়রা, যার মধ্যে নাগা এবং কুকি রয়েছে যারা ৪০ শতাংশ গঠন করে এবং বেশিরভাগই পার্বত্য জেলাগুলিতে বসবাস করে।