হোটেল রুমে জোর করে ঢুকল অচেনা ৪-৫ ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে ছিল এক মহিলাও। তারপর হঠাৎই শুরু মারধর। জোর করে টাকা আদায়। এখানেই শেষ নয়, তারপর উলঙ্গ মহিলার পাশে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলতে বাধ্য করে। দিল্লির হোটেলে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার শিকার এক যুবক।
একজন সাংবাদিক ঘটনাটি সকলের নজরে এনেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার বিবরণ দেন। তিনি লেখেন, ‘আমার কাছে এক বন্ধুর ফোন আসে। তাঁর সহকর্মী কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার জন্য দিল্লিতে আসেন। পাহাড়গঞ্জের কাছে একটি সস্তার হোটেল বুক করেন। ব্যাগপত্র সেখানে রেখে তিনি কনফারেন্সে চলে যান।’
তিনি আরও লেখেন, ‘কাজ শেষ হওয়ার পর তিনি লাগেজ নেওয়ার জন্য হোটেলে আসেন। কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ তাঁর রুমে ৪-৫ জন গুণ্ডা ঢোকে। তাদের মধ্যে ছিল এক মহিলাও। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুণ্ডারা তাঁকে চড় মারে। বেধরক মারধরও করে। তারপর ওই মহিলা উলঙ্গ হয়। তাঁর পাশে জোর করে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলতে বাধ্য করা হয়। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, যে তিনি যদি মুখ খোলেন তাহলে এই ছবি পাবলিক করে দেবে। তারপর তাঁর থেকে ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা নিয়ে তারা বেরিয়ে যায়।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘ওই ব্যক্তি পুলিসের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। কারণ তাঁর মনে হয় যে এই ঘটনার সঙ্গে পুলিসও জড়িত আছে। তাই তিনি টাকা দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।’ সবার শেষে তিনি লেখেন যে হোটেল বুক করার আগে অবশ্যই রিভিউ দেখে নেবেন।
ওই ট্যুইটে ইউজার বলেছেন যে এই বিষয়ে দিল্লি পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পুলিস তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি পুলিস যে ওই গুণ্ডাদের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা তা নিয়েও তদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।’
পোস্টটি ইতোমধ্যেই ১.৪ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। এক নেটিজেন লেখেন, ‘পাহাড়গঞ্জ এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য কুখ্যাত এলাকা।’ আবার একজন লেখেন, ‘পাহাড়গঞ্জ চোর আর পকেটমারে ভরা।’
এর আগে, বেঙ্গালুরুর এক মহিলাকে একজন পুরুষের দ্বারা যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছিল। তিনি এক্স-এ ভয়ঙ্কর ঘটনাটি শেয়ার করেছেন।