আসলে এগুলো নাকি জাপানি আম। নাম মিয়াজাকি। এর আগে মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতি এই আমের চারা বসিয়েছিলেন। তিনি একেবারে সশস্ত্র বাহিনীর পাহারা বসিয়েছিলেন। এবার আলিপুরদুয়ারের চাষিরও ঘুম উড়ল এই আমের চারা বসিয়ে। এই বোধহয় কেউ আম চুরি করে নিয়ে যায়।
১০০, ২০০ কিংবা হাজার টাকা কেজি নয়। আমের কেজি প্রতি দাম ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এমনটাই দাবি আলিপুরদুয়ারের আম চাষির। কিন্তু কী এমন আম যার দাম প্রায় তিন লাখ। আলিপুরদুয়ার শহরের বাসিন্দা লোচা দেবের দাবি, এক কেজি মিয়াজাকি আমের দাম প্রায় তিন লাখ টাকা। আসলে এগুলো জাপানি আম। একেবারে বিরল জাতের আম।
কলকাতা থেকে ২ হাজার টাকা করে চারটি চারা কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি সেই চারা নিজের বাগানে বসান। আর সেই আমের চারা আর মুকুল দেখতে একেবারে লাইন লেগে যাচ্ছে বাড়ির সামনে।
আলিপুরদুয়ার শহরের পল্লিমঙ্গল ক্লাবের পাশে লোচা দেবের বাড়ি। তিনি আলিপুরদুয়ার ডিআরএম অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। এদিকে তাঁর বাড়ির ওই আম গাছে এবার মুকুলও এসেছে। আর তাতে একদিকে যেমন তিনি খুশি তেমনি রাতের ঘুমও উড়েছে তাঁর। এমন তিন লাখি আম পাহারা দেওয়াটাই তাঁর কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতি এই আম গাছ পাহারার জন্য সশস্ত্র বাহিনী ও কুকুরও রেখেছিল। তবে সশস্ত্র বাহিনী রাখার মতো পরিস্থিতি তাঁর নেই। সেকারণে রাত জেগে আম পাহারা দিচ্ছেন তিনি। এর সঙ্গে আম গাছের চারপাশে আটটি সিসি ক্যামেরাও লাগিয়েছেন তিনি। সেই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও রাতদিন আম গাছে নজর রাখছেন তিনি।
সূত্রের খবর, জাপানের কিউসু প্রদেশের মিয়াজাকি শহরে প্রথমে দেখা গিয়েছিল। সেই শহররে নাম অনুসারেই এই আমের নাম মিয়াজাকি। আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম একেবারে বহুমূল্য। এই আমের এক একটির ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম করে হতে পারে। অপূর্ব তার স্বাদ। আর বাইরের লাল রঙ দেখে মোহিত হয়ে যাবেন আপনি।