পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের একাধিক জায়গায় হয়েছে উপনির্বাচন। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের ম্যাঙ্গালোর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালীন তুমুল ঝামেলার সৃষ্টি হয়। সবার মত ভোট দিতে যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা। তাদের দেখে হঠাৎ ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের লাঠি দিয়ে মারধর করে তারা। জানা গিয়েছে, ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে।
বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ হরিদ্বারে বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোট শুরু হওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ম্যাঙ্গালোরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা দাবি করেছে যে, তারা ভোট দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। এমনকি বয়স্কদেরও নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তাদের আঘাতের চিহ্ন ও রক্ত মাখা কাপড়।
ঘটনাটি লিবারহেরি গ্রামের ভোট কেন্দ্রে ঘটেছে। যেখানে ম্যাঙ্গালোর এবং বদ্রীনাথ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছিল। ঘটনায় অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। ওই বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী দাবি করেছেন যে, তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।
কংগ্রেস প্রার্থী কাজী নিজামউদ্দিন বলেন, ‘দুষ্কৃতিরা প্রকাশ্য গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনা গণতন্ত্রের হত্যা। অনেকেই আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
কী ঘটেছিল?
সকালে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও দলিত সম্প্রদায়ের প্রায় ১৫ জন লোক। তখনই ৪ জন বিজেপি কর্মী বন্দুক নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রকাশ্যে গুলি চালাতে থাকে। চিৎকার করে তাদের চলে যেতে বলে। আরও বলে যে এখানে কংগ্রেসকে ভোট দেবার অনুমতি নেই। পরবর্তীকালে তারা স্থানীয়দের ধাক্কা দিয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এমনকি ঘটনাটি পুলিস কর্মীদের সামনেই ঘটে। তখন তারা নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে চার বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। নজরে মানিকতলা, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং রায়গঞ্জ।