সুপ্রিম কোর্টে এ বার জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে সওয়াল করতে দেখা যাবে প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহকে। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে শীর্ষ আদালতে হওয়া গত দিনের শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের’ হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী গীতা লুথরা। মঙ্গলবার তাঁদের হয়ে সওয়াল করবেন ইন্দিরা। আর চিকিৎসকদের আর এক সংগঠন, ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর হয়ে সওয়াল করবেন করুণা নন্দী এবং সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। এই সংগঠনও ওই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
রবিবার জানা যায়, ইন্দিরাকে নিজেদের আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অনিকেত মাহাতো বলেন, “আমরা আইনজীবী হিসাবে ইন্দিরা জয়সিংহকে নিয়োগ করেছি। আগামী মঙ্গলবার তিনি আমাদের হয়ে সওয়াল করবেন।”
ইন্দিরা সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তাঁকে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের শুনানি যাতে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ মাধ্যমে সাধারণ মানুষও দেখতে পারেন, তার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন ইন্দিরা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ ইন্দিরার আর্জিকে মান্যতা দেওয়ার কথা জানায়।
বর্তমানে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু মামলার শুনানি ঘরে বসেই দেখতে পারেন সাধারণ মানুষ। আরজি করের ঘটনা নিয়ে শীর্ষ আদালত যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে, তার শুনানিও সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বিতর্কেই বার বার ভেস্তে যাচ্ছে রাজ্যের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। শনিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে বসার আগে জুনিয়র ডাক্তারেরা ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বা সরাসরি সম্প্রচারের দাবি তোলেন। মমতা জানান, আন্দোলনকারীরা যে চিঠি দিয়েছিলেন, তাতে সরাসরি সম্প্রচারের কথা ছিল না। শেষমেশ ওই সরাসরি সম্প্রচার সংক্রান্ত শর্তের গেরোতেই ভেস্তে যায় বৈঠক। গত বৃহস্পতিবারও মূলত এই শর্তের গেরোয় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল।