টানা দুই ম্যাচে হারের পরে জয়ে ফিরল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। সাউদাম্পটনকে ৩-০ গোলে হারাল তারা। দিনটা ভাল গেল ম্যাঞ্চেস্টার সিটিরও। পিছিয়ে পড়েও ব্রেন্টফোর্ডকে হারাল তারা। অন্য দিকে জয়ের হ্যাটট্রিকের পরে নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে হারল লিভারপুল। এই হারের ফলে পয়েন্ট তালিকায় সিটির কাছে পিছিয়ে পড়ল তারা।
ব্রাইটন ও লিভারপুলের কাছে হারের পরে অ্যাওয়ে ম্যাচে সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ম্যান ইউ। শুরুটা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, আত্মবিশ্বাস কতটা কম ইউনাইটেডের ফুটবলারদের। বলের দখল থেকে সুযোগ তৈরি, সবেতেই এগিয়ে ছিল সাউদাম্পটন। ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও পায় তারা। পেনাল্টি পায় সাউদাম্পটন। কিন্তু ক্যামেরন আর্চারের শট বাঁচিয়ে দেন আন্দ্রে ওনানা। সেটাই সুবিধা করে দেয় ম্যাঞ্চেস্টারকে। পরের মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন ডি লিট। ব্রুনো ফের্নান্দেসের ক্রসে হেডে গোল করেন তিনি।
প্রথমার্ধে আরও একটি গোল করে ইউনাইটেড। ১৩ ম্যাচের পরে গোল করেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর মাটি ঘেঁষা শট পায়ের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গোলে চলে যায়। ৭৯ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সাউদাম্পটনের জ্যাক স্টিফেন্স। সংযুক্তি সময়ে ম্যান ইউর হয়ে তৃতীয় গোল করেন আলেজ়ান্দ্রো গারনাচো। এই জয়ের ফলে চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় আট নম্বরে উঠে এসেছে ইউনাইটেড।
ব্রেন্টফোর্ডের বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির শুরুটা ভাল হয়নি। প্রথম মিনিটের মধ্যেই গোল খেয়ে যায় তারা। ব্রেন্টফোর্ডকে এগিয়ে দেন ইয়নে উইসা। তাতে অবশ্য চাপে পড়েনি সিটি। চলতি মরসুমে আটকানো যাচ্ছে না আর্লিং হালান্ডকে। এই ম্যাচেও জোড়া গোল করেন তিনি। ১৯ ও ৩২ মিনিটে হালান্ডের গোল সিটিকে জিতিয়ে দেয়। প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে সিটি। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সকলের উপরে তারা।
ম্যান সিটিকে ধাওয়া করছিল লিভারপুল। তারাও টানা তিনটি ম্যাচ জিতেছিল। কিন্তু শনিবার নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিরুদ্ধে খুব খারাপ ফুটবল খেলল তারা। তার খেসারত দিতে হল মহম্মদ সালাহ্দের। ম্যাচের ৭২ মিনিটে একমাত্র গোল করেন ফরেস্টের হাডসন ওডোই। ০-১ গোলে হারে লিভারপুল। এই হারের পরে চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট তাদের। পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা।