হিমাচল প্রদেশের মানালিতে বহুল জনপ্রিয় জিপলাইন করার সময় খাদে পড়ে গেল এক কিশোরী, গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি – ভাইরাল ভিডিয়ো। ভয়ংকর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, জিপ লাইনে যাত্রার সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। হিমাচল প্রদেশের মানালিতে জিপলাইনে চড়ার সময় মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ১২ বছর বয়সী এক মেয়ে ৩০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। মেয়েটির নাম তৃষা বিজওয়ে। জিপলাইনের তার ছিঁড়ে যাওয়ার পর কিশোরী মেয়েটি গভীর খাদে চোখের নিমিষে পড়ে যায়। তার পা সহ গুরুতর আঘাত লাগে সারা শরীরেই।
নাগপুরের বাসিন্দা প্রফুল্ল বিজওয়ে তাঁর স্ত্রী কন্যাকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন ছুটি কাটাতে। জিপলাইনে চড়ার সময় আচমকা তার ছিঁড়ে গেলে মাঝ আকাশে ঝুলে থাকা অবস্থাতেই খাদে পড়ে যায় কিশোরী তৃষা। জানা গিয়েছে, ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনার ফলে তৃষা- ওই নাবালিকার একাধিক জায়গায় হাড় ভেঙে গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে কোনও পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না এবং দুর্ঘটনার পরপরই তারা কোনওরকম সাহায্য পাননি। প্রথমে মানালির একটি হাসপাতালে তড়িঘড়ি প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় তাকে।
পরিবারের অভিযোগ, জিপলাইনে চড়ার সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না এবং দুর্ঘটনার পর তারা কোনও সহায়তা পায়নি। এই ঘটনা পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনের প্রয়োজনীয়তার দিকটি উন্মোচন করেছে।
আহত কিশোরীর পরিবারের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের দুর্ঘটনার পর থেকে মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাঁর পরিবারের মতে, মেয়েটির বেশ কয়েকটি হাড় ভেঙে গেছে এবং কয়েকদিন আগে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় চণ্ডীগড়ের একটি হাসপাতালে। বর্তমানে তৃষা নাগপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। বিজওয়ে পরিবার দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যায় কীভাবে মাঝপথে ছিঁড়ে যায় জিপলাইনের দড়ি। তাঁরা এই ঘটনায় জিপলাইন সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন।