কেউ জানতেই পারল না! সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসে লিফটে আটকে থাকলেন প্রৌঢ়। ২ দিন পর উদ্ধার করা হল তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরালায়।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই প্রৌঢ়ের নাম রবীন্দ্রন নায়ার। বাড়ি, কেরালার উল্লুড় এলাকায়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য় স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। কবে? শনিবার। হাসপাতালে ওপি ব্লকের দোতলায় যাওয়ার জন্য লিফটে ওঠেন রবীন্দ্রন। এরপরই ঘটে বিপত্তি।
ওই প্রৌঢ়ের দাবি, ‘লিফটটি নিচে নেমে আসে, কিন্তু দরজা খোলেনি। লিফটের ভিতর থেকে সাহায্যের জন্য চিত্কার করেছিলাম, কিন্ত কেউ আসেনি। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মোবাইল’। এরপর আজ সোমবার লিফট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এক কর্মী যখন কাজে যোগ দেন, তখনই ঘটনাটি জানাজানি হয়। উদ্ধারের পর রবীন্দ্রনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে।
কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? স্রেফ তদন্তের নির্দেশই নয়, রিপোর্টও তলব করেছেন কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালের ৩ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই প্রৌঢ় জানিয়েছেন, ‘লিফটে যে এর্মাজেন্সি নম্বর যে তালিকা ছিল, সেই নম্বরে ফোন করার চেষ্টা করেছিলাম। কেউ ফোন ধরেনি। অ্যালার্মও বাজিয়েছিলাম। তারপর মনে হল, এটা দ্বিতীয় শনিবার এবং পরের দিন রবিবার। সাহায্যের অপেক্ষায় ছিলাম’।
এদিকে বহুবার চেষ্টা করেও রবীন্দ্রনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পরিবারের লোকেরা। শেষপর্যন্ত রবিবার সন্ধেয় থানার নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের অবশ্য় দাবি, যে লিফটে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই লিফটটি নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না।