রাজভবনের সামনে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের নীল সাদা রঙের আধিক্য চোখে পরেনি। এমনকি দলের প্রচারের পোস্টারে এতদিন প্রধান মুখ থাকত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, সেখানে এখন শুধু অভিষেকের ছবি। রাজভবনের ধর্না তথা ফিরহাদ হাকিম মদন মিত্রের বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, পরিকল্পনা করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বময় কর্তা হয়ে উঠছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বকলমে রাজ্যের সরকারও চালাচ্ছেন অভিষেক বলে দাবি সুকান্তর।
সুকান্তর দাবি, তৃণমূলের এই ধর্না মঞ্চ আসলে দুটি কারণে বাঁধা হয়েছে। এক ইডির তদন্ত থেকে মানুষের চোখ ঘোরাতে ও দ্বিতীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধীরে ধীরে পার্টি তথা সরকারের সর্বময় কর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। সুকান্ত অবশ্য দাবি করেছেন, এখনো অভিষেকই সবটা চালাচ্ছেন। কারণ প্রায় এক মাসের বেশি সময় হয়ে গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে যাননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কন্ট্রোল করছেন। কত টাকা কোথায় ট্রান্সফার করা হবে সবই তার সিদ্ধান্তে চলছে।স্বাভাবিকভাবেই রাজভবনের সামনেটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লঞ্চিং প্যাড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় রং নীল সাদা কোথাও দেখা যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রং মুছে দেওয়া হচ্ছে, কয়েকদিন পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেউ মুছে দেওয়া হবে।”
একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের বাড়িতে যে সিবিআই হানা হয়েছে তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটুও চিন্তিত নন, বরং একটু খুশি হয়েছেন বলে শুনলাম। এটা নতুন এবং পুরাতন তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব নাকি সেটা খোঁজ করুন।
তিনি বলেন, এখন দুটো তৃণমূল চলছে, হরিশ চ্যাটার্জি এবং হরিশ ব্যানার্জি। নব্য ও পুরনো তৃণমূল। পুরনো লোকদের ছাঁটাই করে নতুন তৃণমূলের লোক যারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী তাদেরকে দলের ক্ষমতায় আনার চেষ্টা চলছে। যারা বড় বড় চোর সেই সব চোরেদের বসানোর ব্যবস্থা হচ্ছে বিভিন্ন পদে। পুরনো লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দলে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করতে। পুরনো নেতারা যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী ছিলেন যারা সিজন পলিটিশিয়ান তারা থাকলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে পার্টির দখল নেওয়া সহজ হবে না। সেইজন্য পুরনো তৃণমূলের নেতাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।