কৃষি আইন (Farm law) নিয়ে আলোচনার সময় নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের পক্ষে স্লোগান তুললে তীব্র আপত্তি জানান বিজেপি (BJP) বিধায়করা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে তাঁরা আবারও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, স্বাধীন সরকার, আশিস বিশ্বাস, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, দুলাল বর-সহ সকলে। হইহট্টগোল চলাকালীন দুলাল বরের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সিপিএম বিধায়ক তথা বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তা সামলাতে এগিয়ে আসেন সিপিএমের আরেক বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী। অভিযোগ, তাঁকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন দুলাল বর।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন। কৃষি আইন নিয়ে সরকার ও বিরোধী পক্ষের আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। দুপুর নাগাদ তা শুরু হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরেন। চাষিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ”কৃষকদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার জন্য বিজেপি সরকার দায়ী”। বিজেপি বিরোধী সুর আরও চড়িয়ে তাঁর বক্তব্য, ”আমাদের মধ্যে আদর্শগত বিভেদ থাকতে পারে। কিন্তু কৃষকরা লালকেল্লা দখল করতে গিয়েছিলেন, তা আমি বিশ্বাস করি না। কৃষকরা খলিস্তানি নয়। কৃষক বিলগুলো জোর করে পাস করানো হয়েছে। তিনটি আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। কৃষকদের সব কর মকুব করতে হবে।” এরপর তিনি কড়া সুরেই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলে বলতে থাকেন, ”হয় আইন প্রত্যাহার করো, নাহলে সরকার গদি ছাড়ো।
একথা শুনে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। ওঠে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। শেষে তাঁরা বিধানসভা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন । বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই হইহট্টোগোলের মধ্যেই অবশ্য কেন্দ্রীয় কৃষি আইন খারিজ করে বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেন মন্ত্রী তাপস রায়। তবে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর কড়া নিন্দা করেছেন সিপিএম বিধায়করাও। অন্যদিকে, ৫ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় পেশ হবে ভোট অন অ্য়াকাউন্ট। ৬ এবং ৮ তারিখ তার উপরে আলোচনা হওয়ার কথা।