রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের জন্য চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণাকে ভোটের আগের গিমিক বলে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, যে টাকা কর্মচারীদের ধরাচ্ছেন মু্খ্যমন্ত্রী, সেটা দেওয়ার থেকে না দেওয়াই ভালো ছিল।
৪ শতাংশ ডি এ বৃদ্ধি ইস্যুতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যেহেতু সামনে লোকসভা ভোট, তাই মুখ রক্ষার জন্য এইসব করছেন। কিন্তু ফারাক তো অনেকটাই থেকে গেল এখনো।” তাঁর কথায়, “চার শতাংশ দিয়ে কি হবে? কেন্দ্রের সমান সমান করে ডিএ দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে কর্মচারীরা বঞ্চিতই হচ্ছে।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্রীয় হারে সমকাজে সমবেতন আমাদের রাজ্য সরকার কেন দিতে পারবে না? মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন তখন একসময় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, যে সরকার নিজের কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারের ডি এ দিতে পারে না সে সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই।”
সামাজিক মাধ্যমে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “ভোটের আগে গিমিক করছেন। যে পরিমাণে ডি এ ধরাচ্ছেন সেটা দেওয়ার থেকে না দেওয়াই ভালো। মানুষ এর বিচার করবে।”
প্রসঙ্গত, বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধনে বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের জন্য চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ৪৬% ডি এ পান। অক্টোবরে ৪২ শতাংশ থেকে তা বেড়ে ৪৬ শতাংশ হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা এতদিন ছিল ৬ শতাংশ। এবার রাজ্যের তরফে আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাড়ানোর পরেও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ র ফারাক ৩৬ শতাংশ হল। নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ১০% ডিএ পাবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ডিএ-র ঘোষণাকে ভিক্ষা বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, অন্যান্য রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় এটা তো ভিক্ষা। অত্যধিক উত্তেজনা বাড়লে রাজ্য সরকার একটু জল ছিটিয়ে দেয়। এটাতো দাবি পূরণ হচ্ছে না। সরকারি কর্মচারীরা ভেবে নিন তারা কী করবেন।