মুর্শিদাবাদ এখন কিছুটা শান্ত। কিন্তু আজ মালদহ ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘরছাড়াদের তুমুল বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বৈষ্ণব নগর। আজ বৈষ্ণব নগরে ঘরছাড়াদের শিবিরে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঘরছাড়ারা। তাদের অভিযোগ, ভেতরের খবর চেপে দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেই কারণেই সংবাদ মাধ্যমকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বৈষ্ণব নগরের শিবিরে রাজ্যপাল যখন যান, ওই সময় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অনেক স্থানীয় মানুষও ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন, কিন্তু সকলকে আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তাতে ব্যারিকেট করে দেওয়া হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঘরছাড়ারা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামের মানুষ।
এক যুবক বলেন, “পুলিশ বলছে কোনো মিডিয়া যাবে না, কিন্তু মিডিয়া না গেলে ভেতরে কি হচ্ছে জানা যাবে না। মিডিয়াকে ভেতরে যেতে দিতে হবে। গর্জে ওঠেন আরো একজন, তিনি বলেন, ভিতরের খবরকে চেপে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। সকাল থেকে এটা চলছে। যারা ভেতরে আছে তাদেরও ভয় দেখাচ্ছে। উত্তেজনার মধ্যে বেশ কিছু স্থানীয় যুবক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। নামানো হয় র্যাফ। কাদানে গ্যাস নিয়েও তৈরি হয় পুলিশ।
অন্যদিকে রাজ্যে এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরাও। তারাও বৈষ্ণব নগরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে যান। সেই সময়ও একবার ধুন্দুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, মহিলারা বলছেন, আমরা শুধু সেন্ট্রাল ফোর্স চাই। আমরা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। মেয়েদের বলেছে, এই বাড়িতে থাকলে ধর্ষণ হয়ে যাবি। চলে যা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা যা যা করার করব।