ইদানীং পাহাড়ি এলাকায় বন্য জন্তু শিকার এবং জঙ্গল-এলাকা থেকে বেআইনি ভাবে কাঠ চুরির ঘটনা বাড়ছে। কিছুদিন আগে বন দফতর পাহাড়ি এলাকা থেকে তিনটি হ্যান্ডমেড বন্দুক উদ্ধার করেছে। কিছু যুবক এই বন্দুক দিয়ে জঙ্গলে শিকার করত। আর এই ধরনের বেআইনি কাজকর্মের জেরেই চিন্তিত বন দফতর। তারা এবার এই সব বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল।
মঙ্গলবার গরুবাথান ব্লকের নিম বস্তি এলাকায় এক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করল বন দফতর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নোমাম, চেল, লাভা রেঞ্জের আধিকারিকেরা। ছিলেন মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফের আধিকারিকেরা। ছিলেন স্থানীয় বনবস্তির মানুষজন, পুলিস, জিটিএ সদস্য, ওদলাবাড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ন্যাসে’র সদস্যরা।
কী ভাবে বন্য জন্তু শিকার এবং জঙ্গলের কাঠ পাচার বন্ধ করা যায়, তা নিয়েই মূলত এদিন আলোচনা করা হয়। জঙ্গল-এলাকায় যাতে শিকার করা এবং গাছ কাটা বন্ধ করা যায়, সে ব্যাপারে গ্রামবাসীদের বোঝান রেঞ্জ আধিকারিকেরা। এই ভাবে যারাই অপরাধমূলক কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধেই বন আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান আধিকারিকেরা।
পাশাপাশি এলাকার মানুষজন যাতে আরও বেশি বেশি করে গাছ লাগায়, সেটাও বলা হয় এই বৈঠকে। এদিন এলাকায় বেশ কিছু গাছ লাগানোর পাশাপাশি গ্রামবাসীদেরও চারা গাছ বিতরণ করা হয়। এখন থেকে পাহাড়ি জঙ্গল এলাকায় বন দফতরের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদারি চলবে বলেও বন আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, যত জঙ্গলের গাছ কাটা হবে, তত ভূমিধস বাড়বে, সম্যায় পড়বেন পাহাড়ের মানুষই। তাই বিষয়টিতে গ্রামের মানুষদেরই সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। কারা এই সব কারবারের সঙ্গে যুক্ত। চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে বলে বন দফতর জানিয়েছে।