রাত থেকেই বৃষ্টি ডুয়ার্স জুড়ে। ফলে সমস্ত নদীর জল বেড়েছে। এখনও চলছে বৃষ্টি। বিভিন্ন নিচু এলাকায় জমে রয়েছে জল। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট ফাঁকা। পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও বৃষ্টিপাতের কারণে চেল, ঘীস, লিস নদীতে জল বেড়েই চলেছে।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নাজেহাল ডুয়ার্সের মানুষ। এই নিয়ে চারদিনে পড়ল বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টিতেই জলবন্দি বহু মানুষ। মালবাজার মহকুমার টোটগাঁওয়ের পাশাপাশি দক্ষিণ বিধান পল্লী, বর্মনপাড়া এলাকায় বহু বাড়ি জলমগ্ন। আর এতেই চিন্তিত এলাকার মানুষ। সবেমাত্র চার দিনে পড়ল বৃষ্টি, তাতেই বহু মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। কয়েকদিন আরও বৃষ্টি হলে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে বলে দাবি দক্ষিণ বিধান পল্লী এলাকার মানুষের। তবে এর জন্য নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন গ্রামের মানুষজন।
ওদলাবাড়ি দক্ষিণ বিধান পল্লী এলাকায় প্রায় শতাধিক বাড়ি জলমগ্ন হয়েছে বলে এলাকার মানুষের দাবি। প্রত্যেকটি বাড়ির সামনে হাঁটুসমান জল। যার ফলে এক প্রকার গৃহবন্দি এলাকার মানুষেরা। এরই পাশাপাশি পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ছে এলাকায়। বহু বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় রান্নাবান্না প্রায় বন্ধের মুখে দাবি স্থানীয়দের। বাড়ির ছেলেমেয়েরা জলের জন্য স্কুলে যেতে পারছে না।
স্থানীয়দের দাবি, প্রতি বছর এই একই ছবি দেখা যায় এখানে, অথচ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কোনও ব্যবস্থাই করা হয় না। শুধু দক্ষিণ বিধানপল্লী নয়, বর্মনপাড়া-সহ আশেপাশে বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির জল জমে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এলাকাটিতে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য থাকার কারণে পঞ্চায়েত থেকে কোনও কাজ করা হয় না। এমনকি পঞ্চায়েত সদস্যই এ কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি। শুধু এ বছরের ছবি নয়, প্রতি বছর একই ছবি এই এলাকায়। দেখেও চুপচাপ প্রশাসন। আর এতেই চিত্ত ক্ষিপ্ত এলাকার মানুষেরা।