মাল শহরে জলাশয় বোজানোকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। জমি মাফিয়াদের কাজ বলে অভিযোগ পুরপ্রধানের। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি।
মাল শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি জলাশয় বোজানো হচ্ছে। জলাশয় বোজানোর গুরুতর অভিযোগ তুললেন খোদ মাল পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন সাহা। স্বপন সাহার তোপ, ‘এমনিতেই এখন মাটির জল স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। যে কোনও ভাবে জলাশয় সংরক্ষণ করতে হবে। আর সেখানে জমি মাফিয়ারা জলাশয় বোজাচ্ছেন। আমরা প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাব’। যদিও ওই জমির দেখভাল করা ব্যক্তি পুরপ্রধানের তোলা যাবতীয় অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত মাল শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সার্কাস মাঠ লাগোয়া এলাকায় আচমকা পুরপ্রধান স্বপন সাহা এবং পুরসভার কর্মীরা যান। জমিটির চরিত্র জলাশয় নয় বলে দাবি রয়েছে।
এই প্রশ্নের জবাবে স্বপন বাবু বলেন, ‘ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের এক শ্রেণীর কর্মীদের যোগসাজোশেই এভাবে জমির চরিত্র বদল হতে পারে। কিন্তু আদপে এটা জলাশয়ই। আপনারাই দেখুন। আমরা পুরসভা থেকে বিভিন্ন স্তরে এই বিষয়ে চিঠিও পাঠাব। পুরসভার থেকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব’।
এদিকে বর্তমানে এই জমি এলাকাটির তত্ত্বাবধান করছেন দেবীপ্রসাদ আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘পুরপ্রধানের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ওই জমি বহু বছর ধরেই চরিত্রগতভাবে জলাশয় নয়’।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ওই জমির জলজ অংশ বোজানোও হয়নি। শুধুমাত্র পাড় বাঁধানো হয়েছিল। আমাদের কাছে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে’।
মাল ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই পুরসভার তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে তাদের কাছে। ভুমি সংস্কার দফতর, পুলিসকে আপাতত কাজটি বন্ধ রাখতে বলেছে। অবিলম্বে ওই এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করব তারা। তারপরেই সমস্ত বিষয়টি পরিষ্কার হবে। অন্য দিকে এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যেও চাঞ্চল্য দেখা যায়।