Makar Sankranti 2024: ঠান্ডাকে ছক্কা হাঁকিয়েই পুণ্য মকর স্নান অজয়ে, ভক্তের ভিড় জয়দেব কেন্দুলিতে

মকর সংক্রান্তিতে ঠান্ডা, কুয়াশায় জবুথবু বাংলা। তবে তারমধ্যেই জেলায় জেলায় চলছে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। মকর সংক্রান্তির দিন আসানসোলের দামোদর, অজয় ও বরাকর নদীতে স্নান করার জন্য পুণ্যার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন সকাল থেকেই। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা হওয়ার দাপটকে উপেক্ষা করে পুণ্যার্থীরা ভোর হতেই পৌঁছে যান নদীতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বেড়েছে নদীতে। আজকে আরও এক ডিগ্রি কমে তাপমাত্রা ৯-এর এসে নেমেছে। ওদিকে পৌষ সংক্রান্তির সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন আসানসোল। সঙ্গে রয়েছে ঠান্ডা হাওয়া। সব জায়গাতেই দৃশ্যমানতা অনেক কম। তবে তার মধ্যেই দামোদর নদে মকর স্নানে পুণ্য ডুব দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।

একই ছবি দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলেও। ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে, দেখা নেই সূর্যের। তবে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে অজয় নদে স্নান করতে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। কবি জয়দেবের ডাকে সাড়া দিয়ে অজয় নদ বেয়ে এসেছিলেন মা গঙ্গা। আজকের দিনে সেখানেই পুণ্যস্নান করে রাধা বিনোদের মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই পুণ্য অর্জনের আশায় প্রতিবছর মকর সংক্রান্তিতে অজয়ের জলে পুণ্যস্নানে আসেন লক্ষ পুণ্যার্থী। এবছরও সূর্যের আলো ফোটার আগে থেকেই পুণ্য অর্জনের আশায় অজয়ের জলে ডুব দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। ড্রোন ক্যামেরায় এবং জলপথে চলছে নজরদারি। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিস এবং স্বেচ্ছাসেবক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়ছে। বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান জেলার হাজার হাজার মানুষ এই জয়দেব কেন্দুলি মেলায় যান।

ওদিকে উত্তরে জলপাইগুড়ি জেলায় প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই কাকভোর থেকে প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে সপরিবারে স্নান সেরে সূর্য পুজো মগ্ন হয়েছেন প্রত্যেকে। জেলা জুড়ে শীতের দাপট। কুয়াশার চাদরে মোড়া গোটা জেলা। কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। ঠান্ডায় জবুথবু জলপাইগুড়িবাসী। আজ মকর সংক্রান্তির সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। রয়েছে ঠান্ডা হাওয়া। প্রবল কুয়াশায় সব জায়গায়ই দৃশ্যমানতা কম রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশার দাপটও। 

তারমধ্যেই জলপাইগুড়িরবাসীর ঘরে ঘরে মকর সংক্রান্তি পুজো শুরু হয়েছে সোমবার ভোর থেকেই। এই বিশেষ দিনটি পৌষ সংক্রান্তি বা পৌষ পার্বণ নামে পরিচিত। বাড়িতে আলপনা দেওয়া হয় ও বিশেষ পুজো করা হয়। ঘরে ঘরে রকমারি পিঠে-পুলি-পায়েস তৈরি করে নতুন মাসকে স্বাগত জানানো হয়। পৌষ সংক্রান্তিতে মূলত চালের গুঁড়ো, ময়দা, নারকেল, দুধ, গুড় দিয়ে বিভিন্ন পিঠে তৈরি হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.