১ / ৮
১২০টি গাড়ি বেরিয়েছিল। প্রতিটি গাড়ি দেখে যে কারও মনে হতে পারে, এটা বিয়েবাড়ির গাড়ি! কিন্তু এই গাড়ি যে আদতে আয়কর দফতরের, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। এই ছদ্মবেশ ধারণ করেই মহারাষ্ট্রে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে সফল হয়েছে আয়কর দফতর।
২ / ৮
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের জালনা এলাকায় হানা দিয়ে ৩৯০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে নগদ ৫৬ কোটি টাকা, ৩২ কেজি সোনা, ১৪ কোটি টাকার হিরে।
৩ / ৮
এ ছাড়াও বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যে কায়দায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দফতর, তা সিনেমার যে কোনও কাহিনিকেও হার মানাতে পারে।
৪ / ৮
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তল্লাশি অভিযানের ব্যাপারে যাতে আগেভাবে কেউ টের না পান, সে কারণেই ১২০টি গাড়িকে বরযাত্রীর গাড়ির আদলে সাজানো হয়েছিল। কয়েকটি গাড়িতে বোর্ডে লেখা ছিল ‘দুলহন হাম লে যায়েঙ্গে’।
৫ / ৮
প্রসঙ্গত, এই নামেই সলমন খান-করিশ্মা কপূরের সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল ২০০০ সালে। বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীদের গাড়িতে সাধারণত এই ধরনের বোর্ড দেখা যায়।
৬ / ৮
শুধু তাই নয়, আয়কর দফতরের প্রায় আড়াইশো কর্মী ও পুলিশ আধিকারিকরাও বরযাত্রীর বেশ ধারণ করেছিলেন। ফলে কারওরই বোঝার উপায় ছিল না যে, এটা আদতে বিয়েবাড়ির গাড়ি নয়, আয়কর দফতরের।
৭ / ৮
আয়কর দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোটি কোটি টাকার গয়না ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আগাম পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
৮ / ৮
আঁটঘাট বেঁধেই অভিযান চালায় আয়কর দফতর। শেষে এই সাফল্য। জানা গিয়েছে, কর ফাঁকির অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালায় আয়কর দফতর। বাজেয়াপ্ত করা নগদ টাকা গুনতে সময় লাগে প্রায় ১৩ ঘণ্টা।