মহাকুম্ভে ফের দুর্ঘটনার কবলে একজন বাঙালি পূর্ণ্য়ার্থী। প্রাণ গেল এক জনের। আহত ২৪। দুর্ঘটনা ঘটল বিহারের গোপালগঞ্জে।
হাতে আর মাত্র এক সপ্তাহ। ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে মহাকুম্ভ মেলা। পুণ্যলাভের আশায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলের দলের মানুষ এখন ভিড় জমাচ্ছেন প্রয়াগরাজে। ভিড় এতটাই যে, ট্রেনে টিকিট পাওয়াই দুষ্কর। জেনারেল কামরাতেও ওঠার উপায় নেই। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে পিকআপ ভ্যান ভাড়া মহাকুম্ভের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ২৫ জন। ফেরার পথে ঘটে দুর্ঘটনা।
বিহারে গোপালগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রলারে ধাক্কা মারে পিকআপ ভ্য়ান। ঘটবাস্থলেই প্রাণ হারান শান্তি মণ্ডল নামে এক মহিলা। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। আহতেরা ভর্তি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে। একজনকে আনা হয়েছে কলকাতায়। আরজি কর হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার বিভাগে ভর্তি তিনি। কোমর এবং পায়ের হাড় ভেঙে দিয়েছে তাঁর।
এর আগে, কুম্ভ মেলায় পুণ্য স্নান করতে গিয়ে প্রয়াগরাজ এলাকাতেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় পুরুলিয়া ৩ পুর্ণ্যার্থীর। মৃতদের নাম জাগরি মাহাতো (৪৫), আল্পনা মাহাতো (৪৪) এবং কুন্তি মাহাতো (৬৫)। তাঁদের বাড়ি পুরুলিয়ার টামনা থানা এলাকার গোপলাডি গ্রামে। পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে প্রয়াগরাজে গিয়েছিলেন তারা।
এদিকে আজ, বিধানসভায় মহাকুম্ভ নিয়ে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘ওটা এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে’। বাজেটের জবাবি ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কুম্ভকে সম্মান জানাই। কত মৃতদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন? কী পরিকল্পনা করেছিলেন আপনারা? এত হাইপ তুলতে গেলেন কেন? রেলে পদপিষ্ট হয়ে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে। তাও আমরা সফট লাইন নিয়েছি। কারণ দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে’।