নতুন নির্মাণ এবং জমি লেনদেনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি। চলতি বছরের মার্চে জমি অধিগ্রহণও শুরু হয়। তা সত্ত্বেও জনসাধারণ ক্ষতিপূরণের কথা শোনে। সেইসব শোনা মাত্রই মানুষ হাইওয়ের ধারে বাড়ি নির্মাণ করতে শুরু করে দেয়। ইতোমধ্যেই জানা গিয়েছে, গত ১ মাসের মধ্যে ২৫হাজারের বেশি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশে।
কিন্তু প্রশ্ন হল রাতারাতি এত বাড়ি তৈরির কারণ কী? সরকারি লেনদেনই উকিঁ দিচ্ছে কারণ হিসাবে। সিংগ্রাউলি-প্রয়াগরাজ পর্যন্ত হাইওয়ে বরাবর পড়ে প্রায় ৩৩টি গ্রাম। এবং কিছু চাষের জমিও রয়েছে। সরকারের তরফ থেকে অধিগ্রহণের কথা আগেই জানানো হয়। এই নতুন বাড়িগুলির গঠন কিছুটা এরকম চার ফুট উচুঁ দেওয়াল সাথে বোরওয়েল বা জমিতে গাছের জন্য আলাদা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
তবে, প্রশাসন এখন ঘোষণা করেছে যে এই নতুন বাড়ির জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। বাসিন্দারা বলছেন, আকস্মিক এই নির্মাণ বাড়ার পেছনে দালাল ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের হাত রয়েছে।
একজন আধিকারিক ব্যাখ্যা করেছেন যে ক্ষতিপূরণ পরিবর্তিত হয়, কিন্তু যদি একটি বাড়ি জমিতে থাকে এবং কেউ সেখানে বসবাস করে, পরিবারটি একটি পুনর্বাসন প্যাকেজ পায়, যার মধ্যে একটি চাকরি এবং একটি বাড়ি রয়েছে৷ হ্যান্ড পাম্প, বোরওয়েল বা জমিতে গাছের জন্য আলাদা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত জনপ্রিয় ছবি ‘শেরদিল’। যাতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। ছবিতে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের ভয়ংকর জীবনযাত্রার কথা তুলে ধরে। সেখানে দেখা যায়, পরিবারে দুবেলা খাবার যোগান দিতে নিজের জীবনকেও বাঘের মুখে উত্সর্গ করতে দুবার ভাবেনা, শুধুমাত্র সরকারি অনুদানের তাগিদে। এই দুটি ঘটনার মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে কোনো যোগাযোগ না থাকলেও পরোক্ষভাবে রয়েছে। সরকারী অনুদানের জন্য হাইওয়ের পাশে বাড়ি তৈরীর ঘটনা কিংবা বাঘের কাছে জীবন উত্সর্গ করা কোথাও গিয়ে মিল রয়েছে দুটি ঘটনারই।