Lucknow Murder: গুলি করার পরে ছেলে দরজা খুলে বার বার উঁকি মেরে দেখেছিল মা কি বেঁচে!

বাবার লাইসেন্সড বন্দুক দিয়ে মাকে গুলি করার পর লখনউয়ের সেই কিশোর তাঁকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। মাঝেমধ্যেই ওই ঘরের দরজা খুলে নজর রাখছিল মা বেঁচে আছে কি না! পুলিশ জানিয়েছে, গুলি লাগার পরেও মহিলা বেশ কয়েক ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন।

গুলি করার পরদিন সকালে আবার সেই ঘর খোলে কিশোর। তখনও একটু একটু শ্বাস চলছিল তার মায়ের। বোনকে অন্য একটি ঘরে আটকে রেখেছিল সে। শুধু তাই-ই নয়, এক বন্ধুকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে সে। তাকে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে মায়ের দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করে।

কিশোরকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে বন্ধুকে ওই কিশোর বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসেছিল তাকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মায়ের দেহ সরিয়ে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু ওই বন্ধু গোটা বিষয়টি জানার পর সেই কাজ করতে অস্বীকার করতেই তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শুধু তাই-ই নয়, এ কথা যেন পাঁচকান না হয় সেই হুঁশিয়ারিও দেয় বন্ধুকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা পরের দিন সকাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। যদি সময় মতো কেউ খবর পেতেন, তা হলে মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হত। কিন্তু কিশোর তা না করে মায়ের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিল।

পুলিশের কাছে কিশোর দাবি করেছে, সে যে কাজই করতে চাইত, মা তাকে বাধা দিত। কোনও কিছু না করলেও তাকেই সন্দেহ করা হত। বিষয়টি নিয়ে তার মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ জন্মেছিল মায়ের বিরুদ্ধে। কিশোরের ঠাকুমা বলেন, “মোবাইল গেমের প্রতি এত আসক্ত হয়ে পড়েছিল যে, নাতি কারও কথাই শুনত না। এই আসক্তির জন্য স্কুলের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। তার পর ওকে আর মোবাইল ধরতে দেওয়া হত না। এটা নিয়ে ওর মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। ওর আচরণের মধ্যেও অদ্ভুত পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.