‘ভাগ্যিস আমার বাবা বড়লোক ছিলেন না’, বিপ্লবের মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগঘন সুদীপ্তা

৩০ নভেম্বর এলেই তাঁর মনটা ভার হয়ে আসে। না চাইতেও শীতের আকাশটা মেঘলা হয়ে আসে। শেষ চার বছর হয়ে গেল জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটা হারিয়ে গিয়েছে। বুধবার মন ভাল নেই অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর। চার বছর হল চলে গিয়েছেন বাবা বিপ্লবকেতন চক্রবর্তী। তাই এই দিনে আরও বেশি করে মনে পড়ছে তাঁর।

বাবা বিপ্লবের মঞ্চের একটি পুরনো ছবি ভাগ করে নিয়ে সুদীপ্তা লেখেন, “তুমি যে নেই সেটা বিশ্বাস করা গত চার বছরে অভ্যাস হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু হয়নি যে! আসলে বাবা হিসেবে তোমার শেখানো মূল্যবোধ, সততা, সহজ সরল জীবন যাপনের অভ্যাস, মানুষ কে বিশ্বাস করার আর সম্মান করার অভ্যাস গুলো রয়ে গেছে। তাই বোধহয় তুমিও রয়ে গেছো। ওগুলো থেকে যাবে। তাই বোধ হয় তুমি ও থেকে যাবে আমার মধ্যে, আমাদের মধ্যে।”

এই দিনটায় বাবার কোন স্মৃতিটা ফিরে ফিরে আসে অভিনেত্রীর? আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সত্যি বলতে, এখন বর্তমানে সমাজে যে নৈতিক পতন দেখি, তা দেখে মনে হয়, ভাগ্যিস বাবা আমাদের তিন বোনকে এমন ভাবে বড় করেছিল! মনে হয়, ভাগ্যিস বাবার অঢেল টাকা ছিল না। তাই তো আমাদের কাছে মূল্যবোধ এতটা দামি। বাবা মিথ্যে একদম পছন্দ করতেন না। আমিও তেমনই। মানুষের এত পদস্খলন দেখে সত্যিই মনে বাবা ভাগ্যিস একটু অন্য ভাবে আমাদের মানুষ করতে চেয়েছিলেন।”

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে সুদীপ্তা ব্যস্ত তাঁর রান্নার শো ‘রান্নাঘরের গপ্পো’ নিয়ে। তা ছাড়া রয়েছে বেশ কিছু সিনেমার ওয়ার্কশপ। যেখানে অভিনেত্রী ব্যস্ত কলাকুশলীর অভিনয়ের প্রশিক্ষণ দিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.