ভ্যালেন্টাইনস ডে-র (Valentines Day) সঙ্গে হিন্দুত্ববাদীদের সম্পর্ক কোনও কালে ভাল নয়। পাশ্চত্য সংস্কৃতি ঠেকাতে যুবক-যুবতীদের উপর চড়াও হতে দেখা গিয়েছে তাদের। যদিও এবার খোদ মোদি সরকার ভ্যালেন্টাইনস ডে স্পেশাল পরামর্শ দিল। অভিনব পরামর্শ। সরকারের পশু কল্যাণ বোর্ড (Animal Welfare Board) এক বিবৃতিতে আমজনতার প্রতি আবেদন জানাল, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র (Valentine’s day) দিনে তথা ১৪ ফেব্রুয়ারি গরুকে আলিঙ্গন করুন (Cow Hug Day)।
কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবাদ শিরোনামে গরু এসেছে বারবার। গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে বিতর্ক, হিংসা, গোমাতা রক্ষা, গরু রক্ষণাবেক্ষণে সরকারি উদ্যোগ গোয়াল তৈরি যেমন হয়েছে, অন্যদিকে গরুর উপকারিতা নিয়ে আজব সব দাবি উঠেছে। গোবর, গোমূত্র, এমনকী গরুর নিঃশ্বাসে কঠিন রোগ সেরে যায়ও বলা হয়েছে। গরুর দুধে সোনা আছে বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের অন্যতম বিরোধী নেতা দিলীপ ঘোষ।
এদিন কেন্দ্রের পশু কল্যাণ বোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিমের চাপে বৈদিক সংস্কৃতি মুছে যেতে বসেছে। পাশ্চাত্যের চাকচিক্যে আমরা আমাদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে ভুলতে বসেছি। সেই কারণেই অভিনব আবেদন করা হয়েছে। পশু কল্যাণ বোর্ড আরও জানিয়েছে, গরুর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাদের আবেদন, যারা গরুকে ভালবাসে তারা যেন ১৪ ফেব্রুয়ারি গবাদি পশুকে আলিঙ্গন করেন। তাতে জীবন আরও সুখের হয়ে উঠবে। এভাবেই ‘গরু আলিঙ্গন দিবস’ তথা ‘কাউ হাগ ডে’ পালনের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড । কিন্তু শুধু গরুই কেন? অন্য প্রাণী নয় কেন, প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
যদিও কাউ হাগিং গোটা দুনিয়ায় নতুন ট্রেন্ড। কিছু গবেষক মনে করেন, এর ফলে শরীরে পজিটিভ এনার্জি প্রবেশ করে। তাছাড়া মানুষের শরীরে অক্সিটোসিন বুস্টিংয়ে সাহায্য করে। তারপরেও সরকার যেভাবে প্রেমদিবসে অফিসিয়াল পশুপ্রেমে উৎসাহ দিচ্ছে তার সমালোচনা শুরু হয়েছে।