ঘরের মাঠে আফগানিস্তান, কুয়েতের বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট পায়নি সুনীল ছেত্রীর ভারত। কাতারের মাটিতে গত ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজকদের কাছে ১-২ ব্যবধানে হেরে গেল সুনীলহীন ভারতীয় দল। ৩৭ মিনিটে ভারতের লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের করা গোল কাজে এল না রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে।
৪-৩-৩ ছকে দল সাজান ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্তিমাচ। ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য কাতারের বিরুদ্ধে জয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত গুরপ্রীত সান্ধুদের প্রতি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্তিমাচ। যদিও ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিট কাতারের দাপট ছিল বেশি। ধীরে ধীরে মাঝমাঠের দখল নিতে শুরু করেন ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ়, মনবীর সিংহেরা। ১২ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল আয়োজকেরা। আলওয়ারির শট ব্লক করেন মেহতাব সিংহ। ভারতীয় দল গোল করার প্রথম সুযোগ পায় ২৩ মিনিটে। যদিও অফসাইডের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন সুরেশ সিংহ। কিছুটা খেলার গতির বিপরীতেই ৩৭ মিনিটে ছাংতের গোলে এগিয়ে যায় ভারত। প্রতিপক্ষের বক্সে ব্রেন্ডনের কাছ থেকে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় জালে জড়িয়ে দেন মিজ়োরামের স্ট্রাইকার। দু’পক্ষই একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে প্রথমার্ধের শেষে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। তা না হওয়ায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু করে ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে সমতা ফেরানোর জন্য আক্রমণের ঝাঁঝ বৃদ্ধি করেন কাতারের ফুটবলারেরা। ভারতীয় দলের রক্ষণের ফুটবলারেরা অবশ্য সতর্ক ছিলেন। তার মধ্যেও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ছাংতেরা। কিন্তু লাভ হয়নি। বরং ৭৫ মিনিটে সমতা ফেরায় কাতার। এই গোল নিয়ে অবশ্য বিতর্ক তৈরি হয়। বল গোল পোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে চলে গিয়েছিল। কাতারের আল হাসান সেই বল গুরপ্রীতের কাছ থেকে কার্যত ছিনিয়ে নিয়ে মাঠে ঢুকিয়ে গোল করেন। ভারতীয় দল প্রতিবাদ করলেও কাজ হয়নি। ‘ভার’ না থাকায় রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসাবে বিবেচিত হয়।
এর পর আর সে ভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি ভারত। ৮৫ মিনিটে কাতারের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন আর রাউই। বক্সের মধ্যে প্রায় ফাঁকায় বল পান তিনি। গুরপ্রীত দলের পতন আটকাতে পারেননি। সংযুক্ত সময় সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ভারত। কিন্তু সফল হননি সাহাল।