সকালে কল্যাণ বললেন, এবার বাউন্ডারি হাঁকাব। বিকালে কবীরশঙ্কর বললেন, উনি বোল্ড আউট হবেন। শ্রীরামপুরে সকালে দোল খেলার ফাঁকে জনসংযোগে বেরিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনবার জিতে হ্যাটট্রিক করেছেন, এবার তিনি বাউন্ডারি হাঁকাবেন। অর্থাৎ তিনি চতুর্থবার শ্রীরামপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হবেন। বিরোধীরা কোনও ফ্যাক্টর হবে না। আর বিকালে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে জনসংযোগ করার ফাঁকে বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু বললেন, উনি বোল্ড হবেন। ৪ জুন ব্যাগপত্র গুছিয়ে ওনাকে চলে যেতে হবে।
শ্রীরামপুরে এবার লড়াই প্রাক্তন শ্বশুর-জামাইয়ের। শ্বশুর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী। গত তিনবারের সাংসদ। বর্ষীয়ান আইনজীবী। আর তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে অবতীর্ণ হয়েছেন তাঁরই প্রাক্তন জামাই কবীরশঙ্কর বসু। তিনিও আইনজীবী। ২০২১ সালে শ্রীরামপুর বিধানসভায় বিজেপির টিকিটে লড়ে তৃণমূলের সুদীপ্ত রায়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন কবীরশঙ্কর বসু। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি প্রার্থী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, বিরোধীরা কোনও ফ্যাক্টর নয়। কোনও প্রার্থী সম্বন্ধে কিছু বলব না। সবাই যে যার নিজেরটা বোঝে। ২০০৯ সাল থেকে সিপিএম হারছে। বাপি লাহিড়ী হেরেছে। দেবজিৎ হেরেছে। এবারও হারবে। হ্যাটট্রিক হয়েছে। এবার বাউন্ডারি হাঁকাবেন তিনি।
বিকালে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে এসে কবীরশঙ্কর বসু বললেন, আমরা রাজনৈতিক ময়দানে আছি। সবাইকার পাস্ট আছে আর সবাইকার প্রেজেন্ট আছে। সবাইকার ফিউচারও আছে। এটা হচ্ছে রাজনীতির ময়দান। উনি একজন সিনিয়র লইয়ার। আমিও একজন লইয়ার। লইয়ার হিসেবে আমি ওনাকে সম্মান করি। কিন্তু উনি যে দলের প্রতিনিধি হয়ে এখানে দাঁড়িয়েছেন, সেই দল দুর্নীতিতে ডুবে আছ। আজকে তাঁদের এই বাংলায় মুখ রাখার জায়গা নেই। উনি সেই দল থেকে এখানে দাঁড়িয়েছেন। চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে। তিনবারের সাংসদ হতে পারেন। কিন্তু উনি তৈরি হয়ে যান। ৪ জুন ব্যাগ গুছিয়ে ওনাকে বিদায় করতে এখানকার মানুষ তৈরি আছে। বাউন্ডারি না উনি বোল্ড আউট হবেন।