নাম লকি ফার্গুনসন (Lockie Ferguson)। নিউজিল্যান্ড থেকে আমদানি করা কেকেআরের দুরন্ত গতির ফাস্টবোলার। তাঁর বয়স ৩১। থাকেন অকল্যান্ডে। বিশেষত্ব বলতে, অনায়াসে ১৫০ কিমি বা তার বেশি প্রতি ঘণ্টায় বল করতে পারেন। দেশের জার্সিতে একটি টেস্ট, ৫৩ টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক আঙিনায় প্রথম আত্মপ্রকাশ। দেখতে দেখতে দেশের জার্সিতে খেলে ফেলেছেন সাত বছরেরও বেশি সময়। আইপিএলে (IPL) লকির সঙ্গে গতির লড়াইয়ে এক বছর তেইশের জোরা বোলার। নাম উমরান মালিক (Umran Malik) গতবছর থেকেই লকি বনাম উমরানের (Lockie Ferguson vs Umran Malik) লড়াই। এক্সপ্রেস গতিতে বল করতে পারেন শ্রীনগরের বাসিন্দা। গতবছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) জার্সিতে, প্রায় প্রতি ম্যাচেই দেড়শোর ওপর বল করে বাইশ গজের নজর কেড়েছিলেন উমরান। ডেইল স্টেইনের শিষ্য এখনও পর্যন্ত দেশের জার্সিতে পঞ্চাশ ও কুড়ি ওভারের সংস্করণে আটটি করে ম্যাচ খেলেছেন। আগামিকাল কেকেআর ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে খেলবে সানরাইজার্সের (KKR vs SRH)। প্রাক ম্যাচ সাংবাদিকে এসে লকি জানিয়ে দিলেন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে উমরানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কীভাবে দেখেন!
গতির যুদ্ধের প্রসঙ্গে লকি বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন আমার মনে হয়, উমরান মালিকের সঙ্গে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা, আপানারাই তৈরি করেছেন। ফাস্ট বোলারদের মধ্যে একটা অদ্ভুত ভাতৃত্ববোধ কাজ করে। বিশেষত যাঁরা ১৫০ কিলোমিটারের ওপর বল করে। সত্যি বলতে উমরানকে দেখে আমি রোমাঞ্চিত হই। ভারতের মতো দেশ থেকে ও উঠে এসেছে। এত ভালো বল করছে। দারুণ গতি রয়েছে। এটা দারুণ ব্যাপার। আমি ওকে অনুপ্রাণিত করব। অ্যানরিক নোকিয়ার কথাও বলব। আইপিএলের দ্রুততম বোলার শুনতে ভালো লাগে। চেষ্টা করব যতটা সম্ভব জোরে বল করার।’ চলতি আইপিএলে দ্রুততম ডেলিভারি কিন্তু এসেছে লকির হাত থেকেই। দিন তিনেক আগে লকি তাঁর প্রাক্তন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন। প্রথম দুই ম্যাচ রিজার্ভে থাকার পর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত তাঁকে নিয়েই দল করেন। লকি এই মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই নিক্ষেপ করেছিলেন আগুনের গোলা। ৯৫.৭ মাইল প্রতি ঘণ্টায় বল করেছিলেন। কিলোমিটারের হিসেবে ১৫৪.১। চলতি মরসুমে উমরানকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন লকি। উমরান প্রথম ম্যাচেই রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে পরপর ১৪৯.২ ও ১৫২ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বল করেছিলেন।