রাজ্য সরকারের আবগারি দফতরের নামে ‘জাল’ ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে। আদৌ সরকারের না হলেও সেই ওয়েবসাইট থেকে মদের দোকানের জন্য নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে দাবি করা হয়েছে। এমন একাধিক ওয়েবসাইট সক্রিয় বলেই দাবি আবগারি দফতরের। কোনও ব্যবসায়ী যাতে সেই ফাঁদে পা না দেন, তার জন্য প্রচারও শুরু করেছে আবগারি দফতর।
এখন রাজ্য আবগারি দফতরের বেশির ভাগ কাজই হয় সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে। সরকারি পোর্টাল (https://excise.wb.gov.in/)-এর মাধ্যমে নতুন লাইসেন্স বিলি থেকে অন্যান্য ঘোষণা করে থাকে। এই পোর্টালে গিয়েই রাজ্য সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন প্রকারের মদের ন্যায্য দামও জানা যায়। বিক্রেতাদের পাইকারি হিসাবে মদ কেনার জন্য এই পোর্টাল ব্যবহার করতে হয়। আবার কোন ক্রেতা ‘ই-আবগার’-র মাধ্যমে খুচরো মদ কিনতে চাইলেও তার বিস্তারিত তথ্য মেলে এই পোর্টালে।
এখন সেই পোর্টাল খুলতে গেলেই আবগারি দফতরের সতর্কতা দেখা যাচ্ছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, সরকারি পোর্টালের মতো দেখতে বিভিন্ন জাল ওয়েবসাইটের খবর পেয়েছে দফতর। সেগুলির চেহারা সরকারি পোর্টালের আদলে হওয়ায় যে বিভ্রান্তির সমস্যা হতে পারে, সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি পোর্টালের (https://exciselicensegov.com/) উল্লেখ করে বলা হয়েছে সেটির সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্কই নেই।
আবগারি দফতর যে পোর্টালটিকে জাল বলে জানিয়েছে, সেটিতে গেলেই নতুন মদের দোকানের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে বলা হচ্ছে। নাম— ‘ডিপার্টমেন্ট অব এক্সাইজ’। যাদের অতীতে কোনও লাইসেন্স নেই তারাই আবেদন করতে পারবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। অনলাইনে আবেদন করতে বলা হলেও সেখানে একটি ফোন নম্বরের উল্লেখ রয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষে সেই নম্বরে ফোন করলে সেটি অস্তিত্ব নেই বলে জানা গিয়েছে।
আবগারি দফতর ‘জাল’ বলে উল্লেখ করা পোর্টালটিতে দাবি করা হয়েছে, এটি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ। তবে সেই সংক্রান্ত বিশেষ তথ্য দেওয়া নেই। গ্রামে বা শহরে নতুন মদের দোকানের জন্য লাইসেন্স পেতে কত টাকা দিতে হবে এবং কী কী নথি লাগবে, তারও উল্লেখ রয়েছে পোর্টালটিতে। খুচরো দোকান থেকে বার-সহ মদ তৈরি বা বোতলজাত করার কারখানা বানাতেও লাইসেন্স দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে।
এই পোর্টালের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই কেউ ঠকেছেন কি না, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি। রাজ্য আবগারি দফতরের এক কর্তা জানিয়েছে, এমন কিছু পোর্টাল মানুষকে ঠকানোর জন্য তৈরি হয়েছে তার বেশ কয়েকটি অভিযোগ আসে। এর পরেই আবগারি দফতর সতর্ক হয় এবং সকলকে সতর্ক করে। এর পরেই নাকি সংশ্লিষ্ট ফোন নম্বরটি আর কাজ করছে না।