“আপনাদের এখানকার বড় নেতা এখন দিল্লির তিহার জেলে বসে বেদের মেয়ে জোৎস্না সিনেমার গান গাইছেন “জেল খানাই সম্বল, থালা বাটি কম্বল।” এখানে আবার বাপ বেটি পাশাপাশি বসে গাইছেন। অপেক্ষা করুন কয়েক মাস। পিসি আর ভাইপো একই সঙ্গে ওই গান করবেন। রবিবার বিকেলে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ষাটপলসা মোরে জনসভায় এভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিন তিনি বলেন, “আপনারা তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে লড়াই করে যান। আমার কাছে খবর আছে, আপনারা যখন দলীয় পতাকা বাঁধতে যাচ্ছিলেন তখন এই থানার ওসি বলেছিলেন গুলি চালিয়ে দেব। আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি একজন কার্যকর্তার গায়ে গুলি চালান, হাইকোর্টে গিয়ে আপনার উর্দি খুলে দিতে না পারলে আমার নাম সুকান্ত মজুমদার নয়”।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা জটিল মণ্ডলকে আক্রমণ করে বলেন, “বালি পাচারের টাকা খাবেন। একটা অংশ পুলিশকে দেবেন আর আমাদের লোকেদের ধমকাবেন চমকাবেন এটা চলতে দেওয়া যাবে না। এখন বলছি শুধরে যান। মনে রাখবেন আপনাদের বড় বড় আইপিএসদের সিবিআই, ইডি ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনি তো থানার ওসি। আপনাকে তুলে নিয়ে যেতে দু’মিনিট সময় লাগবে না”।
জটিল মণ্ডলকে সরাসরি আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, “এই জটিল মণ্ডল বালি চুরি করে খায়। সে যদি বুথ লুঠ করতে আসে লাঠি মেরে শায়েস্তা করুন। আমি হাইকোর্ট থেকে জামিন করে নিয়ে আসব আপনাদের”।
অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগে শুনতে পেতেন খেলা হবে। কিন্তু এখন শুনতে পান? আগে ওরা কথায় কথায় দিল্লি যেত। এখন দিল্লি যেতে বললে তারা বলে দিল্লি যাব না। আরও বড় বড় চোর রয়েছে। উপর তলার চোরদের আমরা টাইট করব। নিচু তলার চোরদের আপনারা শায়েস্তা করুন। আপনাদের বড় নেতা চরাম চরাম, পাঁচন, নকুলদানার দাওয়ায় দিতেন। এখন শোনা যাচ্ছে? এখন বেদের মেয়ে জোৎস্না গান গাইছে। জেলখানাই সম্বল, থানা বাটি কম্বল। আমরা দিল্লি গেলে শুনি। আর কয়েকটা মাস অপেক্ষা করুন পিসি আর ভাইপো পাশাপাশি একই বসে একই গান গাইবেন”।
নগর উন্নয়ন মন্ত্রী শনিবার বলেছিলেন, ২৪ সালে আমারই সরকার গড়ব। সেই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “২৪ সালে যদি তৃণমূল সরকার গড়ে তাহলে হাতিও জামা প্যান্ট পরে ঘুরবে। আর পারলে আমার বিরুদ্ধে সিবিআই লাগান। তবে বলে রাখি ভোটের দিন কাউকে বুথ লুঠ করতে দেবেন না। তাঁর জন্য ঝাণ্ডার সঙ্গে মোটা মোটা ডাণ্ডা রাখুন। কেউ বুথ লুঠ করতে এলে শায়েস্তা করুন। পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে এক মাসের মধ্যে আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেব”।