দেশের বৃহত্তম ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ের লঞ্চ করা হতে পারে ১১ মার্চ। বিষয়টির সাথে অবগত অন্তত তিনজন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বিষয়টি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে। অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীরা ১১ মার্চ থেকে আইপিও-র জন্য বিড করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। এর দুই দিন পর থেকে অন্যান্য বিনিয়োগকারীরাও আইপিও-র জন্য বিড করতে পারবেন।
সেবির কাছে এলআইসির আইপিওয়ের যে খসড়া নথি জমা পড়েছে, তাতে ‘অফার ফর সেল’-এর মাধ্যমে ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ৩৬১.২৫ মিলিয়ন শেয়ার বেচতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটা সংস্থার পাঁচ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ারের সমতুল্য। এলআইসির প্রাথমিক পাবলিক অফার (আইপিও) মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রক অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর পরেই একটি নির্দেশক বিপণন মূল্য ব্যান্ড সেট করা হবে৷ তবে সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, এলআইসির আইপিও লঞ্চের তারিখ বদলও হতে পারে৷ তবে এখনও পর্যন্ত যা স্থির আছে, তাতে ১১ মার্চই লঞ্চ করা হবে আইপিও৷ যদিও মিন্টের তরফে এই বিষয়ে এলআইসির প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে সংস্থার তরফে কিছু বলা হয়নি৷ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এমনিতে চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে বাজার থেকে ১.৭৫ লাখ কোটি টাকার তোলার পরিকল্পনা করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণ সত্ত্বেও সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারবে না কেন্দ্র। সেই পরিস্থিতিতে ‘ডিসইনভেস্টমেন্ট পাইপলাইন’-এর মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে টাকা আনতে এলআইসির বিলগ্নিকরণের পরিকল্পনা কেন্দ্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চলতি মাসের শুরুতে সেই বিষয়টি স্পষ্টও করে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সাধারণ বাজেটে তিনি জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই এলআইসি আইপিও জারি করা হবে। সেই প্রক্রিয়া চলবে। তার ফলে লাভবান হবেন আমজনতা।