চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিন পিংয়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত লি কিয়াং চিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পেলেন। আজ, শনিবার সকালে এক পার্লামেন্ট অধিবেশনে ভোটাভুটির পর তাঁর এই নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন এই লি কিয়াং। চিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৬৩ বছর বয়সী লি কিয়াং’কে নিয়োগ করার প্রস্তাব ছিল জি জিন পিংয়ের। শনিবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে প্রস্তাবটি পড়ে শোনানো হয়। লি কিয়াংয়ের নিয়োগ চূড়ান্ত করতে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (পার্লামেন্ট) ২৯০০–এর বেশি প্রতিনিধির মধ্যে ভোট হয়। তিনি প্রায় সকলেরই সমর্থন পেয়েছেন।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। লিং কিয়াংয়ের নির্বাচনের দিনে পার্লামেন্টের একটি ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে দেখা গিয়েছে, লি ২৯৩৬ টি ভোট পেয়েছেন। মাত্র তিনজন প্রতিনিধি তাঁর নিয়োগের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আটজন ভোটদানে বিরত ছিলেন। ভোট চলার সময় ভেতরে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে চিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন লি কিয়াং। চিনের সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।
একটি ইরিগেশন প্ল্যান্টের কর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন লি কিয়াং। তারপর ধীরে ধীরে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলি করেন। স্থানীয় সরকার পর্যায়ের বিভিন্ন পদেও ক্রমশ আসীন হতে থাকেন। একসময় সাংহাই শহরে কমিউনিস্ট পার্টিকে নেতৃত্বও দিয়েছেন লি কিয়াং। ২০০০-এর শুরুর দিকে জি জিন পিংয়ের চিফ অব স্টাফ ছিলেন তিনি। জি তখন ঝেজিয়াং-এ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন।
করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে গত বসন্তে চিনের সাংহাই শহরে কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছিল। জিরো কোভিড নীতি ও লকডাউনের বিরুদ্ধে চিনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। সেই সময়ে লকডাউনের দায়িত্বে থাকা লি কিয়াংয়ের ভূমিকা নিয়ে দেশ জুড়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
তবে লি কিয়াংয়ের প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে বিশেষ প্রশ্ন নেই। কেননা, তিনি গত তিন বছর ধরে করোনা-পরিস্থিতি যে বাড়বাড়ন্ত শুরু করেছিল তার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি এই করোনার কারণে অর্থনীতির যে নুয়ে-পড়া অবস্থা সেটার সঙ্গেও যথেষ্ট পরিকল্পনা করে লড়াই করেছেন।