কেন্দ্রের সাথে বিচার বিভাগের টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। তার মধ্যে আরো একবার দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সেই চিঠিতে কলেজিয়াম ব্যবস্থায় কেন্দ্রের প্রতিনিধিকেও রাখা দরকার বলে মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকারের জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা বিচারপতি নিয়োগের ফলে বিচার ব্যবস্থায় জনমতের প্রতিফলন হবে।
দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এবং অন্যান্য উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয় কলেজিয়াম। দেশের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের চার প্রবীন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত হয় কলেজিয়াম। একটি সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত বিষয়ে যে চিঠিগুলি আগে পাঠানো হয়েছিল নতুন চিঠি তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেওয়া হয়েছে।
নতুন চিঠিতে রিজিজু যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বদলানোর কথা বলেছিল। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সংসদের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশন বিল এনে বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার কথা বলেছিল। যদিও সেটা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
কিছুদিন আগেই কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বিচারপতি নিয়োগে সরকারের ভূমিকা বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। এর আগেও কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কলেজিয়াম ব্যবস্থা দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে দাবি করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের কোনো ভূমিকা না রাখার জন্য কলেজিয়াম ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সরকারের তরফে বলা হয়েছে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিরা না থাকলে বিচারপতি নিয়োগে জনমতের কোনো প্রতিফলন দেখা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কলেজিয়াম ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করেছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে।