জ্ঞানবাপী চত্বরে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-কে দিয়ে আবার সমীক্ষা করাতে চেয়ে বারাণসী আদালতে আবেদন জমা পড়েছিল। শুক্রবার আদালত হিন্দু পক্ষের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
হিন্দু পক্ষের তরফে আইনজীবী বিজয়শঙ্কর রস্তোগি বারাণসীর ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে আবেদন করেন। তাঁর দাবি ছিল, জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্সে একটি বিস্তৃত সমীক্ষা চালাক এএসআই। সেই সমীক্ষার অনুমতি নিতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই আবেদনই খারিজ হয়ে যায়। তবে বিজয় জানিয়েছেন, এই রায় চ্যালেঞ্জ করে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে যেতে পারেন তিনি।
গত বছর ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয় বিশ্বেস হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘সিল’ করা এলাকার (ওজুখানা এবং ভূগর্ভস্থ জলাধারের তথাকথিত শিবলিঙ্গ) বাইরে এএসআই-কে সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কমিটি। গত ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের (জ্ঞানবাপী চত্বরে পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষা) উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। ওই সময়সীমার মধ্যে এ বিষয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
ইলাহাবাদ হাই কোর্ট সে বছর ৩ অগস্ট ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র আবেদন খারিজ করে এএসআই সমীক্ষায় ছাড়পত্র দিয়েছিল। ৪ অগস্ট থেকে মসজিদ চত্বরের ‘সিল’ করা এলাকার বাইরে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছিল এএসআই-এর বিশেষজ্ঞ দল। আদালত ৫ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও এর আগে দু’দফায় আবেদন জানিয়ে সমীক্ষার সময়সীমা বাড়িয়েছে এএসআই। গত বছর ১৮ ডিসেম্বর বারাণসী জেলা আদালতে পেশ করা এএসআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছিল, জ্ঞানবাপীর কাঠামোর নীচে ‘বড় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব’ ছিল। তার পরই বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপীর তহখানায় আরতি ও পূজাপাঠের অনুমতি দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে বহাল থাকে সেই নির্দেশ।