অগ্নিগর্ভ লাদাখ। চার দফা দাবিতে যখন পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ, তখন অশান্তির জন্য জলবায়ু কর্মী সোনম ওয়াচুককেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিবৃতি, এটা একপ্রকার স্পষ্ট যে লাদাখে যে হিংসা হয়েছে তার পেছনে র্যাঞ্চো’ ওয়াংচুকই। এবার সেই ওয়াচুকের বিরুদ্ধে তদন্তে নামল সিবিআই।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরেই বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত চলছে। কিন্তু এখনও কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ? কোনও ব্য়ক্তি বা সংস্থা যদি বিদেশি অনুদান নিতে চান, তাহলে কিছু নিয়ম বা শর্ত মানতে হয়। নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সরকারি ছাড়পত্রও লাগে। শর্ত না মানলে এফসিআরএ ধারায় মামলা দায়ের করা হতে পারে। ঠিক যেমনটা ঘটেছে । সোনমের সংস্থা ‘হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভস লাদাখ’ (এইচআইএএল) এবং ‘স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ’ (এসইসিএমওএল) -এর বিরুদ্ধেও।
পিটিআই-কে ওয়াংচুক জানিয়েছেন, প্রায় ১০ দিন আগে সরকারি নির্দেশনামা নিয়ে তাঁর কাছে এসেছিল সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে এফসিআরএ-র অধীনে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না নিয়ে বিদেশি অনুদান গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়েছে’। সোনমের কথায়, ‘আমরা বিদেশি তহবিলের উপর নির্ভরশীল থাকতে চাই না, তবে আমরা আমাদের জ্ঞান রফতানি করি এবং তার বিনিময়ে খরচ সংগ্রহ করি। এই ধরনের তিনটি ক্ষেত্রে, তারা (সিবিআই) ভেবেছে এটি বিদেশি অনুদান।’’ সিবিআই তদন্তকারী দল এখনও লাদাখে আছে বলেও জানিয়েছেন সোনম।