শেষমেষ পুলিসের জালে সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ। তারপরেই গ্রেফতার মূলচক্রী । এদিন পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে পেশ করা হবে তাকে। সংসদ হানার পর রাজস্থানের নাগৌর হোটেলে গা ঢাকা দেয়। শাগরেদের মদতে ভিডিয়ো লোপাটের ছকও কষে। সবকটি মোবাইল পুড়িয়ে ফেলে ললিত। কবে থেকে প্ল্যান, মোটিভ কী? আগেই ধৃত ৪ জনকে হেফাজতে নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে স্পেশাল সেল।
ললিতের কলকাতা-কানেকশনে আরও এক্সক্লুসিভ জি চব্বিশ ঘণ্টায়। পড়াশোনা করলেও চাকরি ছিল না সংসদ হানার মাস্টার মাইন্ডের। জি চব্বিশ ঘণ্টাকে ফোনে জানালেন ললিতের দাদা। কখনও প্রাইভেট টিউশন। কখনও সবজির ঠেলা লাগত ললিত। দাদা সন্তু ঝা বলেন, ‘ভাল ছেলে ছিল, কেন করলো জানি না। অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। কে ওর মগজ ধোলাই করলো জানা নেই।’ ১০ তারিখ বাবা মাকে বিহারের বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনে তুলে দেয় ললিত। তারপর থেকেই কোনও যোগাযোগ নেই। কাল শম্বু ঝাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কলকাতা পুলিসের STF এবং সেন্ট্রাল IB।
সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা গ্রেফতার মধ্যরাতেই। দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ ললিত ঝার। তারপর তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। ধৃত বাকি চার অভিযুক্তের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর। ললিত ঝার দাদাকে সন্ধে থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল কেন্দ্রেয়ী গোয়েন্দা শাখা ও কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। তারপরেই কর্তব্যপথ থাকানয় আত্মসমর্পণ করে ললিত। এরপরেই ললিতকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস।
অন্যদিকে, লোকসভায় হানাকাণ্ডে ধৃত চার জনের পুলিস হেফাজত। সাতদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের। জুতোর মধ্যে তৈরি গর্তের আড়ালে রাখা হয় স্মোক বোমা। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র করে সংসদে ঢোকে দুই অভিযুক্ত। লখনউ থেকে বিশেষ দুই জোড়া জুতো কেনে অভিযুক্তরা। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে দাবি পুলিসের। ধৃত চার জনের সাত দিনের পুলিস হেফাজত আদালতের।