সেনা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই লাদাখে পা রেখেছিলেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। চিনা সেনার অবস্থান খতিয়ে দেখে সীমান্তের সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন সেনা প্রধান। এরই মাঝে খবর প্রকাশ্যে আসে যে চিন প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার ৮-এর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটা দূরে একটি বড় সেতু বানাচ্ছে। এই আবহে ভারতীয় সেনা নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করতে চিনের সমান সেনা মোতায়েন রেখেছে সীমান্তে।
লাদাখ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই দিকেই এখন দুই দেশের সমসংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে। চিনের আর্মরড এবং রকেট রেজিমেন্টগুলি রুডগ ঘাঁটিতে, প্যাংগং সোর দক্ষিণে এবং অশান্ত জিনজিয়াং সামরিক অঞ্চলের জিয়াদুল্লাহতে মোতায়েন রয়েছে। পিএলএ এয়ার ফোর্স ডেমচোক এবং জিনজিয়াংয়ের হোতান এয়ারবেসে তাদের যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে।
লাদাখ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই দিকেই এখন দুই দেশের সমসংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে। চিনের আর্মরড এবং রকেট রেজিমেন্টগুলি রুডগ ঘাঁটিতে, প্যাংগং সোর দক্ষিণে এবং অশান্ত জিনজিয়াং সামরিক অঞ্চলের জিয়াদুল্লাহতে মোতায়েন রয়েছে। পিএলএ এয়ার ফোর্স ডেমচোক এবং জিনজিয়াংয়ের হোতান এয়ারবেসে তাদের যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে।
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর রাস্তা ও সেতু সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে মোতায়েন রয়েছে। যেকোনও জরুরি পরিস্থিতি যাতে মোকাবিলা করা যায়, তার জন্য জন্য দৌলেট বেগ ওল্ডি পর্যন্ত কড়া নজরদারি চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী। গালওয়ান নদীর উপর থাকা সাতটি সেতুর কাছে পর্যন্ত ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান সমেত সেনাকর্মী প্রস্তুত।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, প্যাংগং লেকের কাছে বড় একটি সেতু নির্মাণ শুরু করেছে পিপল’স লিবারেশন আর্মি। এই সেতু দিয়ে অনায়াসে ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধের সাঁজোয়া যান চলতে পারবে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। উল্লেখ্য, এর আগেও ভারতীয় সেনা দাবি করেছিল যে প্যাংগং হ্রদ অঞ্চলে একটি সেতু নির্মাণ করছে চিন। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা উপ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, নতুন এই সেতু আগেরটি থেকে অনেকটাই বড়।
ভারতও প্যাংগং সংলগ্ন এলাকায় পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া প্যাংগং লেকের দক্ষিণাঞ্চলের কাছে পাহাড়গুলিতে ভারতীয় সেনা মোতয়েন থাকায় চিন খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে। লাদাখ সেক্টরে উপস্থিত রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বড় রেজিমেন্ট। তাই চিনের উপর ভারতও কড়া নজর রেখে চলেছে।