বিমানের ককপিটে আচমকাই একটি বিষধর কেউটে সাপকে আবিষ্কার করলেন পাইলট! তবে আতঙ্কিত না হয়ে ঠান্ডা মাথায় বিমানটিকে নামিয়ে আনেন তিনি। সফল অবতরণের কারণে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতেও যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি।
ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকার। সে দেশের বিমানচালক রুডলফ এরাসমাস একটি চার আসনের ছোট বিমান নিয়ে ওরসেস্টার থেকে নেলসপ্রুটের উদ্দেশে উড়ে যাচ্ছিলেন। বিমানে ছিলেন চার জন যাত্রী। বিমান ছাড়ার আগেই যাত্রীরা জানান, তাঁরা বিমানের ভিতর একটি বিষধর কেউটে সাপকে দেখেছেন। তার পর আতঙ্কে তাঁরা হইচই শুরু করে দিলে সাপটি বিমানের ই়ঞ্জিনের দিকে চলে যায়। পরে আর সেটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই সবাই ধরে নেন, সেটি বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছু সময় পরেই সকলের ভুল ভাঙে।
এরাসমাসের কথায়, “বিমান চালাতে চালাতে ককপিটে বসে পায়ে একটা ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ অনুভব করি। প্রথমে ভেবেছিলাম, আমার দু’পায়ের ফাঁকে থাকা জলের বোতল থেকে জল বেরোচ্ছে। পরে টের পাই, একটি কেউটে সাপ আমার আসনের নীচে মুখ বার করে আছে।” ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে চিৎকার করে উঠবেন ভাবলেও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই নিজেকে শান্ত রাখেন ওই বিমানচালক। যাত্রীদের জানিয়ে দেন, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কাছের বিমানবন্দরে বিমানটি জরুরি অবতরণ করবে। সেই মোতাবেক জোহানেসবার্গ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিমানটিকে তড়িঘড়ি নামানো হয়। যাত্রীরা বিমান থেকে নিরাপদে নেমে এলেও এখনও ওই সাপটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন বিমানচালকেরা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁদের গোটা কর্মজীবনে তাঁরা এমন ঘটনার কথা কখনও শোনেননি। তবে প্রত্যেকেই বিমানচালক এরাসমাসের সাহস এবং ধৈর্যের প্রশংসা করেছেন।