পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের পর বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রেও কুড়মি সমাজ প্রার্থী ঘোষণা করলো। বাঁকুড়া লোকসভা আসনে জঙ্গলমহলের আদিবাসী কুড়মি সম্প্রদায়ের সমর্থনে বাউরি সমাজের কাউকে প্রার্থী করা হবে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই কানাঘুষো চলছিল। বাঁকুড়ায় কুড়মি ও বাউরি সম্প্রদায়ের মধ্যে জোট না হওয়ায় কুড়মিরা তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলো। বৃহস্পতিবার খাতড়ার একটি কর্মিসভা থেকে আদিবাসী কুড়মি সমাজ বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের জন্য সুরজিৎ সিংহ কারমালির নাম ঘোষণা করা হয়। এদিনের সভায় সংগঠনের সভাপতি সঞ্জয়কুমার মাহাত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের অন্যতম কর্মকর্তা ফুলচাঁদ মাহাত সহ একাধিক কর্তা ব্যক্তি।
৪৬ বছর বয়সি সুরজিৎ সিংহ কারমালির বাড়ি সিমলাপালে। পেশায় গৃহশিক্ষক সুরজিৎ সিংহ কারমালি বলেন, এই প্রথম ভোটের ময়দানে। তাও আবার লোকসভা নির্বাচনে। তবে তার লড়াইটা মূলতঃ জল, জমি, জঙ্গলের অধিকারের পাশাপাশি সব সভ্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গল মহলের উন্নয়নের জন্য কোনো কাজ করেননি। অন্যদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের পিছিয়ে পড়ে থাকা সম্প্রদায়ের জন্যও কিছু করেননি। তাই নাগরিক অধিকার ছিনিয়ে আনতেই তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তিনি এদিন থেকেই প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন বলে জানান সুরজিৎ সিংহ কারমালি।
কুড়মি সম্প্রদায় প্রার্থী দেওয়ায় বিজেপি না তৃনমূল কার ভোট কাটা যাবে? কে লাভবান হবেন? এই প্রশ্ন নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, নির্দল প্রার্থী হয়ে যে কেউ লড়াই করতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন বাংলার ঘরে ঘরে। তাই জঙ্গলমহলের মানুষ তাদের পাশেই আছেন।
বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, মোদী সরকার সব সম্প্রদায়ের জন্য উন্নয়ন করছেন।
অন্যদিকে সিপিআইএম প্রার্থী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, পিছনে থাকা সম্প্রদায়ের জন্য বামপন্থীরা ছিল, আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে।