উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা।এবারের কুম্ভমেলায় ৩টি শাহি স্নানের যোগ রয়েছে। ১২ এপ্রিল শাহি স্নানের প্রথমদিনে অংশ নিতে ভিড় জমিয়েছে হাজার হাজার পূর্ণার্থী। করোনা ভীতিকে তোয়াক্কা না করেই মানুষের ঢল নেমেছে হরিদ্বারের ঘাটগুলোতে। ভোর থেকেই শুরু হয়ে পূর্ণ্য স্নান। যখন দেশে করোনা সংক্রমণ বিদ্যুতের গতিতে বাড়ছে তখন কুম্ভমেলার ভিড় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা কোভিড-১৯ বিধি লঙ্ঘন করে হরিদ্বারের ‘হরি কি পৌর’ ঘাটে শাহি স্নানের জন্যে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন।উত্তরাখন্ড হাইকোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই মেলায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। আর সেই রিপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে হতে হবে।
কুম্ভ মেলার আইজি সঞ্জয় গুনজিয়াল বলেছেন যে, তারা ধারাবাহিকভাবে করোনাবিধি অনুসরণ করার জন্য লোকদের কাছে আবেদন করছেন। তবে ঘাটে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।তিনি জানান, ‘আমাদের গোটা টিম বারবার পূর্ণাথীদের করোনাবিধি মেনে চলার জন্যে আবেদন করছে। কিন্তু এতটাই ভিড় যে নিজেদের চলাচল দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে সামাজিক দুরত্ববিধি মেনে চলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি আরও বলেন যে, তারা যদি সামাজিক দূরত্ববিধি প্রয়োগের চেষ্টা করা হয় তবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এ বছর কুম্ভমেলা সাড়ে তিনমাসের বদলে ৩০ দিন ধরে চলবে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে। ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে কুম্ভ মেলা।এবারের কুম্ভমেলায় ১২, ১৪, ২৭ এপ্রিলে ৩টি শাহি স্নানের যোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই শংকরাচার্য চকের কৃষ্ণ আশ্রমের ৭ জন সন্ন্যাসী করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ার খবর এসেছে।
প্রতি ১২ বছর পর চারটে পবিত্র তীর্থক্ষেত্র হরিদ্বার, নাসিক, এলাহাবাদ (এখন প্রয়াগরাজ) ও উজ্জ্বয়িনি এই চারটে জায়গার মধ্যে একটি তীর্থস্থানে কুম্ভ মেলা হয়। যদিও এই বছর ১২ বছরের পরিবর্তে ১১ বছরেই এই কুম্ভ মেলা হচ্ছে