Kultali । Murder: প্রেমে বাধা একরত্তি, প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে

 প্রেমে বাধা একরত্তি। তাই তাকে খুন করল মা ও তার প্রেমিক। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কুতুলি ব্লকের কুন্দখালি গ্রামে ৷ মঙ্গলবার সন্ধায় চার বছরের শিশুর দেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা৷ তার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। তারা ওই শিশুর মাকে চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য৷ ঘটনায় মাকে আটক করেছে কুলতলি থানার পুলিস৷ প্রেমিক পলাতক৷ তার সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে কুলতলি থানার পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে ৷

পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সুত্রে জানা গিয়েছে তোয়েব আলি পিয়াদার সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় মাফুজা পিয়াদার ৷ তাদেরই চার বছরের সন্তান মহারুপ পিয়াদা ৷ অভাবের সংসারে কাজের জন্য কলকাতায় থাকতে হয় তোয়েবকে৷ শিশু সন্তানকে নিয়ে গ্রামেই থাকতেন মাফুজা। প্রতিবেশী যুবক আবুল হাসানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। স্বামী বাড়িতে না থাকলে প্রায়ই মাফুজার কাছে আসত আবুল ৷ তাদের সম্পর্কের বিষয়টি গ্রামেও জানাজানি হয়ে যায়৷

এই অবস্থায় দুজনে পালিয়ে গিয়ে একত্রে সংসার করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ কিন্তু মহারুপ মাকে ছেড়ে থাকতে পারবে না ৷ তাই তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন তারা৷ প্রতিবেশী আবু সিদ্দিকী পিয়াদা জানান সন্ধেবেলা দোকানে আসার সময় বাড়ির সামনে তাকে বসে থাকতে দেখেন। মারা গিয়েছে শুনে ছুটে গিয়ে দেখেন মুচড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে তার হাত। এর পরেই পুলিসকে ঘটনা কথা জানানো হয়।

এই বিষযে গ্রামবাসীরা মাফুজাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান তাকে দোকানে পাঠিয়ে সেই সময় খুন করা হয় তার সন্তানকে৷ আরেক প্রতিবেশী মোশারফ আলি মোল্লা বলেন ওই শিশুর হাত ও পা ভাঙা এবং পেটে কাটা দাগ ৷ সকাল থেকে বাড়িতেই ছিল আবুল ৷ কিন্তু ঘটনার পর বাইকে তেল ভরার নাম করে সে পালিয়ে যায়। নিজের চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু দেখতে পারবেন না বলে পরিকল্পনা মাফিক দোকানে গিয়েছিলেন মাফুজা ৷

এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিস জেলার SDPO অতীশ বিশ্বাস জানান তারা শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন৷ ছেলেটির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে ৷ এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.