Kultali: ফের মৃত্যু! কাঁকড়া ধরার সময়ে হঠাৎই বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ল ঘাড়ে…

আবারও বাঘের আক্রমণে মৃত্যু ঘটল এক মৎস্যজীবীর। মৃত মৎস্যজীবী কুলতলির কাঁটামারির বাসিন্দা প্রদীপ সরদার (৩৬)।

সুন্দরবনের নদীজঙ্গলে মাছ ও কাঁকড়া ধরে দুই সন্তানকে নিয়ে কোনও ক্রমে জীবন যাপন করতেন মৎস্যজীবী প্রদীপ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার ৩ জনের একটি দল নৌকা নিয়ে কুলতলির কাঁটামারি থেকে সুন্দরবনের নয়বাঁকি জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গতকাল, বৃহস্পতিবার সকালে নয়বাঁকি জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার সময় হঠাৎই বাঘ এসে প্রদীপের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাঁকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা মৎস্যজীবীরা পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে গতকাল রাতে কুলতলির কাঁটামারি ঘাটে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে কুলতলি থানার পুলিশ কাঁটামারিতে পৌঁছয় ও দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে  এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

কয়েকদিন আগেই ঘটেছে প্রায় একই রকম ঘটনা। বাঘের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল শ্রীদাম হালদারের। শ্রীদাম গোপালগঞ্জ গায়েনের চকের বাসিন্দা ছিলেন। গোপালগঞ্জ গ্রাম থেকে ৪ জন মৎস্যজীবী সুন্দরবনের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সোমবার কাকভোরে দুঃসংবাদ আসে, শ্রীদামকে বাঘে নিয়ে গিয়েছে। খবর আসতেই তাঁর পরিবারে কান্নার রোল ওঠে, শোকে ভেঙে পড়ে গ্রাম।

কথায় বলে, দক্ষিণরায়ের ডেরায় তারই কৃপায় বাঁচে মানুষ! এর মধ্যে সংস্কার থাক আর কুসংস্কারই থাক, বাস্তব এর থেকে তেমন আলাদা কিছু নয়। মাছ, মীন বা কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বেঘোরে বাঘের হানায় প্রাণ যাওয়ার সংখ্যার কোনও হিসেব নেই সেখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.