আজ অমাবস্যার ভরা কোটাল। গঙ্গায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পৌঁছতে পারে ৫ মিটার পর্যন্ত৷ সমুদ্র ও নদীর জল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভরা কোটাল নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় নতুন করে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মাইকিং করা শুরু হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
কলকাতায় জোয়ার শুরু হবে দুপুর দুটোয়। জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পৌঁছতে পারে প্রায় ১৭ ফুট। গঙ্গাপারের বাসিন্দা, সেইসঙ্গে নীচু এলাকার মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেবিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে কলকাতার পুর প্রশাসন। শহরের সমস্ত লকগেটগুলোকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘আমরা বর্ষার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত আছি। নীচু এলাকাগুলিতে পাম্প রয়েছে। কোটালের জন্য নজর রাখা হচ্ছে। নীচু এলাকায় মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য আমরা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে রেখেছি। কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশ দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: নিউটাউন এনকাউন্টার: নিহত দুই গ্যাংস্টারের দেহ নিতে কলকাতায় পরিবার
কোটালের মোকাবিলায় সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় জেলাগুলিকে আগাম সতর্ক করেছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষত এখনও রয়ে গিয়েছে। তাই উপকূল এলাকাতেও জারি হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনার প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রের তীর থেকে মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ। তার জেরে গোটা রাজ্য জুড়েই বৃষ্টিপাত হবে বলে জানা গিয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে এই নিম্নচাপের ফলে রাজ্যে ঢুকতে পারে বর্ষা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের কোনও না কোনও জেলায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটা বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও নদিয়া। আগামী শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কলকাতাতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।