Kota Student Death: মর্মান্তিক! ফের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু কোটায়, তিন মাসে ৬…

ফের শিরোনামে রাজস্থানের কোটা। আরও এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ মিলল সেখানে। জানা গিয়েছে NEET-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই পড়ুয়া।

জানা গিয়েছে, ২০ বছরের ওই ছাত্র মেডিক্যাল কোর্সে প্রস্তুতি নিতে এনইইটি-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই ছাত্র। পুলিস জানিয়েছেন যে কোটায় এই নিয়ে ষষ্ঠ ঘটনা। কোটার স্টেশন হাউস অফিসার সতীশ চন্দ জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা ছিলেন ওই ছাত্র। কোটায় তিনি এক অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকেই তাঁর সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিস আরও বলেন, সকাল থেকে পড়ুয়ার বাবা-মায়ের ফোন ধরছিল না। ফলে তাঁরা জওহর নগর এলাকায় থাকা তাঁর বন্ধুদের ডেকে পাঠায়। তাঁর বন্ধুরা অ্যাপার্টমেন্টে এসে পৌঁছায়। তখন তাঁরা বাড়িওয়ালা এবং নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকেছিল। দরজা ভেঙে তাঁর দেহ উদ্ধার করে।

জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া গত এক বছর ধরে কোটায় পড়াশোনা করছিলেন। কয়েকদিন আগেই অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করেন। পুলিস জানিয়েছেন যে তাঁর ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের মতে, কোটা হল ভারতের পরীক্ষা-প্রস্তুতি কেন্দ্র। যা এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এই কোচিং সেন্টারগুলির বার্ষিক ব্যবসা প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা। সারাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা দশম শ্রেণী শেষ করার পর কোটায় আসে৷ কিছু ছাত্ররা তাদের পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকার কারণে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। মূলত NEET এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (JEE)-র প্রস্তুতির জন্য় ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে আসে।

পুলিসের তথ্য অনুসারে, কোটায় ২০২২ সালে ১৫ জন, ২০১৯ সালে ১৮ জন, ২০১৮ সালে ২০ জন, ২০১৭ সালে ৭ জন, ২০১৬ সালে ১৭ জন এবং ২০১৫ সালে ১৮ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করে মারা যায়। কোভিডের সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ২০২০ এবং ২০২১ সালে কোনও আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়নি৷ 

একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে কোটায়। সেদিকে নজর রেখে স্প্রিং দেওয়া সিলিং ফ্যান লাগাতে বলা হয়েছে হস্টেলগুলিকে। কেউ সেখানে ফাঁস দিয়ে ঝুললেই তা অনকেটাই নীচের দিকে নেমে যাবে। পাশাপাশি ছাদ থেকে কেউ যাতে নীচে ঝাঁপ দিতে না পারে তার জন্য হস্টেলের চারদিকে জাল টাঙাতেও নির্দেশ দেয় প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.