মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের Intergovernmental Panel for Climate Change বা IPCC। পর পর ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যেতে পারে ভারতের বেশ কয়েকটি শহর। তবে তালিকায় একেবারে প্রথমেই রয়েছে কলকাতার নাম। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করা হয়েছে এ জন্য।
সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের হাতে জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে Intergovernmental Panel for Climate Change বা IPCC। সেখানে পৃথিবীর জলবায়ু যেভাবে বদলাচ্ছে, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। কলকাতা ছাড়াও পৃথিবীর আরও বেশ কয়েকটি শহরের বিপদের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই রিপোর্টে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কী কী বলা হয়েছে সেখানে?
- কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা আগামী সময়ে প্রচুর পরিমাণে বাড়তে পারে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ভয়াবহ বন্যা হতে পারে কলকাতা-সহ আশফাশের শহরগুলিতে।
- এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পরিকাঠামো এখনও কলাকাতার নেই।
- কলকাতা ছাড়া সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর আরও বেশ কয়েকটি শহর। এর মধ্যে রয়েছে টোকিয়ো, ওসাকা, করাচি, ম্যানিলা, তিয়ানজিন, জাকার্তা।
- ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ২০টি বড় শহর জের তলায় চলে যেতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতা।
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে। কলকাতার আশপাশে সবচেয়ে বেশি সাইক্লোন আঘাত করেছে। বিশেষজ্ঞদের মত, এর ফলে শুধু কলকাতা নয়, ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ডুবে যেতে পারে দেশের আরও ২০টি বড় শহর। সুন্দরবনের অবস্থা আরও আগে থেকেই খারাপ হতে পারে। ইতিমধ্যেই সেখানকার বাস্তুতন্ত্র ভাঙতে শুরু করেছে। অদূর ভবিষ্যতে পরিবেশ সম্পূর্ণ রূপে খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া কলকাতার আগেই এই এলাকা সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যেতে পারে।
কবে নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে? বিজ্ঞানীদের মত, প্রতি বছরই একটু একটু করে বাড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। বন্যার পরিমাণ তার ফলে বাড়তে পারে। বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে বিজ্ঞানীদের আন্দাজ, ২০৪০ সালের পর থেকে যে কোনও সময়ে পুরোপুরি জলমগ্ন হয়ে যেতে পারে কলকাতা। সম্পূর্ণ রূপে চলে যেতে পারে জলের তলায়।