গাজিয়াবাদ থেকে ব্যবসায়ী আমির খানকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এই আমির খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেড় বছর আগেই দায়ের হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ। অভিযোগটি পার্ক স্ট্রিট থানায় দায়ের করেছিলেন এক প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তি। এবার এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় ওই থানার এসআই–কে ক্লোজ করল কলকাতা পুলিশ। কারণ কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে এসআই–এর বিরুদ্ধে।
আমির খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর, চিনা মোবাইলের গেমিং অ্যাপ ‘ই–নাগেটস’ তৈরি করেছিল আমির খান। ইউজাররা এই খেলায় জিতলে টাকা সরাসরি ওয়ালেটে জমা পড়ত। আর সেই টাকা তুলে নিতে পারতে ইউজাররা। কম টাকা বিনিয়োগ করে মোটা টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছিল। এটাই ছিল আকর্ষণের চাবিকাঠি। তারপরই অতিরিক্ত টাকা পাওয়ার নেশায় আরও টাকা বিনিয়োগ করত ইউজাররা। আর তখনই প্রতারণা করে মুনাফা করত আমির খান।
কেন এসআই–কে ক্লোজ করা হল? কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, যে কোনও থানায় অভিযোগ দায়ের হলে তা তদন্ত করে দেখার কথা এসআই–এর। এই গেমিং অ্যাপের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পার্কস্ট্রিট থানায় একটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই নিষ্ক্রিয়তার কথা জানতে পেরেই ক্লোজ করা হয়েছে এসআই–কে। দ্বিতীয়বার বাড়তি টাকা এখানে বিনিয়োগ করলেই আর ওয়ালেট থেকে তোলা যেত না। বন্ধ করে দেওয়া হতো টাকার তোলার সমস্ত পথ। এমনকী, অ্যাপ থেকে সেই ইউজারের সমস্ত তথ্য মুছে ফেলা হতো।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা জমিয়ে ফেলেছিল আমির খান। যা গার্ডেনরিচ এলাকার বাড়ি থেকে বান্ডিল বান্ডিল অবস্থায় উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর থেকেই একাধিক জায়গায় গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত আমির। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীকে। অনলাইন গেম প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতার নিয়ে আসার মাঝেই কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন।