বেশি রাতে চলন্ত গাড়িতে মহিলার শ্লীলতাহানি। মহিলার চিৎকার শুনে গাড়ি থামিয়ে তাঁকে উদ্ধার করলেন টহলরত পুলিশকর্মীরা। অভিযুক্তকে মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা উত্তর শহরতলির কামারহাটির বাসিন্দা। সোমবার রাতে চারজন বন্ধুর সঙ্গে অভিযোগকারিনী মহিলা একটি পানশালায় যান। মদ্যপান করার পর রাত সোয়া বারোটা নাগাদ পানশালা থেকে বের হন। অন্য বন্ধুরা নিজেদের মতো চলে যান। মহিলা হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে এসে দেখেন, অন্য একটি পানশালা থেকে গাড়ি করে বের হচ্ছেন এক যুবক। তাঁকে যুবক গাড়িতে লিফট দিতে চান। তাঁর বাড়ির কাছেই নামিয়ে দেবেন বলে জানান। মহিলা এতে রাজি হয়ে গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু মহিলার অভিযোগ, গাড়ি চলতে শুরু করার পরই অভিযুক্ত তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় ঘাবড়ে যান মহিলা।
তখন রাজভবনের কাছে এসে গিয়েছে গাড়িটি। রাস্তায় ছিল টহলদার পুলিশের গাড়ি। মহিলা পুলিশ দেখে গাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার করে ওঠেন। চিৎকার শুনে গাড়িটির পিছু নেয় পুলিশের গাড়ি। কিছুটা দূরে গিয়ে পুলিশ ওই গাড়িটি আটকায়। গাড়ি থেকে নেমে এসে মহিলা অভিযোগ জানান। রাতেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। তারই ভিত্তিতে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী অনির্বাণ ঘোষকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, এক নাবালিকাকে বিয়ে করার নাম করে অপহরণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মধ্য কলকাতার মুচিপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম শচীন সিং ও অশোক সিং। মুচিপাড়ার বাসিন্দা ওই নাবালিকার সঙ্গে পরিচয় হয় যুবকদের। সেই সূত্র ধরেই তাকে অপহরণ করা হয়। এই ব্যাপারে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নাবালিকাকে উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইন লাগু করা হয়েছে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের ২৯ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।