কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে সমাজমাধ্যমে নানা রকম কুরুচিকর মন্তব্য করা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এ বার তদন্ত শুরু করল কলকাতা পুলিশ। হেয়ার স্ট্রিট থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরজি কর-কাণ্ডের পর বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন ইন্দিরা। কলকাতা পুলিশের হয়ে তিনিই সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। নানা সময়ে নানা বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে তাঁর সাংবাদিক বৈঠকের ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। সেই ভিডিয়োর নীচে কমেন্ট বক্সে কয়েক জন ব্যবহারকারী বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেন। অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নজরে আসার পরই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশ। তিন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যাঁরা এই হুমকি দিয়েছেন, তাঁদের খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেই খবর।
আরজি কর-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নানা সময়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, আসল অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি ঘটনার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগও তোলা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের মামলায় পুলিশের ভূমিকা সমালোচিত হয়। বিরোধীরা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের একাংশ প্রায়ই পুলিশকে নিশানা করে নানা মন্তব্য করছেন। সমাজমাধ্যমে ঘুরছে নানা পোস্টও। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আন্দোলন রুখতে অতিসক্রিয় পদক্ষেপ করছে পুলিশ।
আরজি করের সেমিনার হলের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আগেই কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল (সেই ভিডিয়োগুলির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি)। কিছু ভিডিয়ো সেমিনার হলের মধ্যেকার, কিছু ভিডিয়ো হাসপাতাল চত্বরের। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। শুক্রবারই এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যায়, দেহ ঘিরে রাখা জায়গায় অনেকের উপস্থিতি। সেই ভিডিয়োতে কারা রয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করেন ইন্দিরা।