রবিবার যাত্রী কম থাকলেও যারা মেট্রোর ভরসায় বাইরে বেরিয়েছিলেন তাদের ভোগান্তি হল বেশকিছুটা। ময়দান স্টেশনে ডাউন লাইনে ফাটল ধরায় ওই লাইনে আর ট্রেন চালানোর ঝুঁকি নেয়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ফাটলের কথা মাথা/ রেখে আংশিকভাবে মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেল চারটের পর মহাত্মাগান্ধী রোড ও টালিগঞ্জ স্টেশনের মধ্যে বন্ধ রাখা হল মেট্রো পরিষেবা।
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চালানো হয়। অন্যদিকে টালিগঞ্জে থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত দুই দিকেই মেট্রো চলাচলব করছে। অন্যদিকে, ফাটল মেরামতির জন্য রেলের গাড়ি এসে পৌঁছেছে ময়দান স্টেশনে। রেল কর্মীরা যত দ্রুত লাইন মেরামতির কাজ শেষ করবেন তত তাড়াতাড়ি টালিগঞ্জ থেকে মহাত্মগান্ধী রোড পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু করা যাবে।
এদিকে, মেট্রোর ওই গোলমালে বেশ ভোগান্তিতে পড়লেন যাত্রীরা। লাইলে ফাটলের খবর পেয়েই বহু যাত্রী স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। অনেকেই ভেবেছিলেন মেট্রোরেলে চড়ে দ্রুত গন্তব্য পৌঁছে যাবেন। কিন্তু রেলের গোলনমালে তা ভেস্তে যায়।
উল্লেখ্য, গতমাসেই কালীঘাট স্টেশনের লাইনে ঝাঁপ দেন এক ব্যক্তি। অফিস টাইমে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো পরিষেবা। সকাল সোয়া দশটা নবাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। গোলমালের জেরে দক্ষিণশ্বর থেকে ময়দান পর্যন্ত ও টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা জারি রাখা হয়। ঘটনার পরই স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসেন। যিনি লাইনে ঝাঁপ দেন তাঁর বয়স অনুমানিক ৫৫। তাকে উদ্ধার করে আরপিএফ।
গত বছর মে মাসের ২২ তারিখে কালবৈশাখীর দাপটে একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৪.৪০ মিনিট নাগাদ উত্তম কুমার থেকে নেতাজি স্টেশনের মাঝে আপ লাইনে গাছ ভেঙে পরে ঝড়ে। এর ফলে উত্তম কুমার স্টেশন থেকে নেতাজি স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ। যদিও দক্ষিণেশ্বর থেকে উত্তমকুমার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। মেট্রো কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে লাইনে ভেঙে পড়া গাছ সরানোর কাজ শুরু করেন এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যায় মেট্রো পরিষেবা। বিকেল ৫.৩০ নাগাদ স্বাভাবিক হয় অবস্থা।