প্রায় দেড় বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কলকাতা পুরভোট। যেই কোভিডের কারণে এই নির্বাচনে বিলম্ব, সেই কোভিডের চোখরাঙানি এখনও রয়েছে। আর তাই বিধানসভা নির্বাচন, উপনির্বাচনের মতোই পুরভোটেও কোভিডবিধি মেনেই ভোট গ্রহণ চলবে। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হবে ভোটগ্রহণ। কলকাতায় মোট ৪০ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৫২ জন ভোটার। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের জেরে সংক্রমণ ছড়ানোর একটা ভয় থাকেই। এই আবহে বিভিন্ন নিয়ম লাগু করেছে কমিশন। কোভিড আক্রান্ত হলে কীভাবে ভোট দেবেন, বা ভোটার আইডি না থাকলে কোন নথি দেখিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন? জানুন বিশদে।
বিধানসভা নির্বাচনের মতো পুরভোটেও ভোটার কার্ড না থাকলে তার ই-সংস্করণের বা E-Epic (ডিজিটাল ভোটার কার্ড) সাহায্যেই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসতে পারবেন ভোটারেরা। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন এটি। ভোটার কার্ড ছাড়াও অন্যান্য সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দেওয়া যায়। আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের পাসবুক (ছবি থাকতে হবে), পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, ছবি-সহ পেনশনের নথি, কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের প্রকল্পের আওতায় হেলথ ইনসিওরেন্স স্মার্টকার্ড, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির কর্মচারীদের চাকরির পরিচয়পত্র দেখিওয়েও ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যায়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে পুরভোটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কোভিড আক্রান্তরাও। পুরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন চাইলেই তাঁদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে। কলকাতায় শেষ পাওয়া খবর পর্য়ন্ত সক্রিয়া করোনা রোগী রয়েছেন ১৬৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৯৬ জন পুরসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। কোভিড রোগীদের ভোট দেওয়ার জন্য শেষের এক ঘণ্টা সময় রাখা হয়েছে। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনেও একই পদ্ধতিতে কোভিড রোগীদের বুথে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই এক ঘণ্টায় বুথে গিয়েই ভোট দিতে পারবেন তাঁরা। তাছাড়া সংক্রমণ রুখতে বাকি সারা দিনও মস্ত কোভিড প্রোটোকল মানা হবে বুথে। মাস্ক, স্যানিটাইজার, সব ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে বুথগুলিতে। ভোটারদেরও লাইনে দূরত্ব বিধি মেনে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।